এই মধুমাস হোক-ই না হয়
মধুর তোমার প্রেমে ...
বর্ষা শরত যাক ছুটিতে
হেমন্ত থাক খুনসুটিতে,
হলদে ছোপে রাঙুক হৃদয়
যাক মুছে যাক উত্তুরে ভয়,
মাঘের করে অতঃপরে
রক্তগাঁদার দৃশ্যচরে,
পলকা হাওয়ার হিমেল বরে
তোমার আমার এই শহরে
ফাগুন আসুক নেমে।
তোমার আমার এই শহরে
ফাগুন যখন আসে ...
কার্নেশনের বিদায় প্রাতে
পলাশ টগর মাল্য গাঁথে,
কৃষ্ণচূড়ার মনটা উদাস
আসবে কবে চৈতী বিলাস,
জ্ঞাতিমিলন পূর্ণিমাতে
হয়তো কোনো সন্নিপাতে,
হাস্নুহেনার কুঁড়ির অধর
জোছনা মেখে বলে, ধূসর
যাচ্ছে পরবাসে।
ধূসর যদি নিলোই বিদায়
লজ্জা তোমার কিসে ...
কপোল ভরে অরুণ মাখো
তিন ফোঁটাতে চিবুক আঁকো,
বুকে বাধো কৃশ চোলি
দিলেই না হয় হায়ার বলি,
দশমেসে রূপ হায়ার ফাঁদে
রূপ-রিপু-কাম ভয়েই কাঁদে,
আর কবে প্রেম সুধায় মরে
হয়ে পুরুষ লোভকাতুরে
তোমায় যাবো মিশে ?
এই মন বিনিময় ক্ষণ যদি হয়
ফুলেল রঙিন ফ্রেমে ...
বসন্ত রোদ তপ্ত আঁচে
ঈর্ষা আনুক হরেক ছাঁচে,
তোমার যতো প্রেমিক পুরান
ভদ্র-জ্ঞানী, নেতা-মাস্তান,
যারা তোমায় রাখতো ঢেকে
সীমা-রেখা-পণের ছকে,
দেখুক ওরা আঁচল ফেলে
লাজ-দ্বিধা-ভয় দূরে ঠেলে
মগ্ন তুমি প্রেমে।