তোমার কাছে চাইবো কি আর প্রিয়,
বেঘর হওয়ার শুভকামনাই দিও।
একটা জনম, কে জানে তারপর,
শূন্য হয়েই ছাড়বো তোমার ঘর।
তোমার ঘরে একলা তুমিই ছিলে,
প্রণয় বরে থাকতে আমায় দিলে।
ঘরটা আমার পর-ই ছিলো, তাই
সেই ঘরে এই মন পেলো না ঠাঁই।
শয্যা-দেয়াল-দুয়ারে জমাট স্মৃতি,
গুপ্ত ধূলে মৌন নিগূঢ় ধৃতি।
আত্ম-খোঁজের প্রয়াস আটক ছাদে,
কেউ কাঁদিনি, তাও কেন মন কাঁদে ?
কে জানে কোন রীতির ভারে কায়া,
স্পর্শকাতর, খুঁজতো রাতে মায়া।
হৃত শিহরণ, তাও শরীরের ঘ্রাণে,
শীর্ষ সুখের লোভটা কি কেউ মানে ?
হয়তো সে সুখ কালের স্রোতে লীন,
অভ্যেসে-শাপ, এখন সে বোধহীন।
বদলেছে সব, মানতে এখন ভয়,
ঘর আছে তাও সুখ যে নিরাশ্রয়।
সুখপাখি কি আটকে থাকে খাঁচায় ?
জনমভরের প্রেমই কারে বাঁচায় …
আমার না হয় মন সাধনেই কূট,
তুমি কি নও একটুও দলছুট ?
জানি, তোমার ভাবনা ছিলো ঘরে,
এই বীতরাগ ক্ষুন্ন তোমায় করে।
চাওনা তুমি ভাবতে এসব, তবু
আমরা কি খুব ভিন্ন ছিলেম কভু ?
আমরা ঘরে ছিলেমই বা কবে,
অস্তি ছিলো ছিন্ন পরাভবে।
বিফল আশার দেনায় ছিলেম নত,
হয়তো কিছুই হয়নি মনের মতো।
অপূর্ণ সব পূর্ণতা ভান-জাঁকে,
ঘর এখনও তোমায় আমায় ডাকে।
সেই ডাকে আজ অনেক মায়ার ঋণ,
মন তবু চায় শূন্যতা রাতদিন।
রিক্ত চোখেই তাই আজ অরব বেদন,
এক ঘরে দুই ভিন্ন জীবন যাপন।
চাইবো কি আর প্রিয় তোমার কাছে,
বেঘর হওয়াই এখন বাকি আছে।