আর কতোদিন বাঁচবি দেহ উদর পুরে খা,
শেষ হবি তুই তুষ্টি খুঁজেই তৃপ্ত হবি না।
শেষের আগেও দেখবি ঘড়ি বিপন্ন বিস্ময়ে,
মর্ত জনম গর্তে ভরে মুখ লুকাবি ভয়ে।
মরণদূতের কূট হাসিটায় রাখবি না তুই চোখ,
একটু আয়ু খামচাতে তুই ফের শানাবি নখ।
অমোঘ ফেলে চাস পালাতে অচিন সুখের খোঁজে,
তুই অগা ... এই সত্য এখন সুখ-দালালও বোঝে।
শৌর্য বীর্য বলের দেহ আজন্ম উন্মুখ,
চায়ের কাপে বুকের মাপে চুমুর তাপেই সুখ!
মিছিল রোদে বিফল জেদে প্রেমের খেদে রোষ,
কান্না হাসি চিত্কারে পাস বাঁচার পরিতোষ!
সেই পরিতোষ খড়কুটো এক বোধ-নদীটার জলে,
আঁকড়ে ধরিস ডুবার ভয়ে কিংবা লোভের ছলে।
বোধ-নদীটার অন্তঃস্রোতে মন শুশকের বাস,
তোর বাঁচার এই কান্ড দেখে করছে উপহাস।
মন শুশকের নেই আয়ু বা কালক্ষেপণের ভয়,
নেই বয়সের জীর্ণ বিষাদ নেই শরীরের ক্ষয়।
আপন সুখে ভেসে ডুবে চলছে যে তার খেলা,
আড়াল খেয়াল জল-ছিনালে ভুলছে সে তোর হেলা।
তুই বোকা তাই মনকে ভুলে গুনতে থাকিস আয়ু,
জীবন জলে নাক ভাসিয়ে নিত্য খুঁজিস বায়ু।
তুষ্টি খোঁজে হাতড়ে বেড়াস কোথায় নদীর তল,
যেই জলে তুই ডুববি সেথায় কোন দুখে চাস স্থল?
সেই জলে তোর অন্ত তবু মনের নেই যে শেষ,
সলিল সান্দ্রে মন বেঁচে রয় তুই তো নিরুদ্দেশ।
নীর সুখে মন হাসবে গাইবে ইচ্ছে ডহর নীড়ে,
জল ছলাতে মিশবে হাজার তৃপ্ত মনের ভিড়ে।
সেই ভিড়ে সব মনগুলোতেও মুক্তি গানের সুর,
তাদের দেহ দাদন চাপে নাশ বিলীন আর চুর।
লিপ্সা তাড়ন জ্বালায় সদাই জমাট বাধিস ঋণ,
কর্যভারেই শেষ হবি তুই মন তো অন্তহীন।