দিবালোকে গাঁথা বেদনা-মাল্য
রাখি গোধূলির কাছে,
চোখ বলে দেখ কান্না উধাও
মন বলে, আরো আছে।
চোখ খোঁজে এই তামসী প্রহরে
অনার্দ্র ঘুম বর,
মন বলে, দেখ জমিনে আমার
দুঃখ-বালুর আস্তর ভার,
সুখনদী যারে ছুঁয়েছেই শুধু
কে তারে মাখাবে ঊঢ়ি কায় মধু ?
আমি কভু তট কভু চর হয়ে
আপনাতে বাঁচি অবহেলা সয়ে,
সুখ-জল সেঁচা জোয়ারে ভাটাতে
আমি ভেজা শুখা আবিলে পলিতে।
কি রোদ কি মেঘ প্রত্যুষ সাঁঝ
আমি তোর মীরা বেহুলা বেলাজ,
নির্গৃহ, তবু তোর হেলা পুষে
তোরই সাথে করি ঘর।
রৌদ্রের খরে আতপ দুখেরা
চোখে লেপে দেয় খোঁজ,
সাঁঝ-বরে তাই বেহায়া দুচোখ
পলায়ন খোঁজে রোজ।
মন-কলসের কৃষ্ণ আধারে
দুঃখের ঘোলা জল,
এই সাঁঝে চোখ শুকনো বিবশ
অপলাপে ঢাকে মনের কলস,
মন বলে, এই অভিমান-মালা
ঢেকে লুকোলেও মিটবে না জ্বালা।
দুঃখ কি আর ঢেকে রাখা যায় ?
সুখটা তো স্রোত কান্নারা দায়,
তাও ভালো থাক সন্ধ্যা-বিলাসে
অনুষ্ণতার মিছে পরিতোষে।
আমি মন, আমি হইনি তো কারও
রাখ না জমাট অভিমান আরো,
অশ্রু ঝরুক জমুক শুকোক
আমি রই অবিচল।