এই রৌদ্র আমায় রেখেছে তোমার চুমুর পিয়াসে নত,
ফাল্গুনী ঠাম গ্রীষ্মের ঘাম আষাঢ়ে গল্প যতো।
তুমি আসবে যখন তান্ডব হবে মেঘ ও মনের নৃত্য,
প্রথমা বৃষ্টি ধুয়ে দেবে সব কল্মষ ইতিবৃত্ত।
এই আকাশে মন্চ আকাশেই মেঘ আমিও উড়বো আকাশে,
রৌদ্রকে শুষে হৃদয় পোড়াবো শ্বাস নেবো ভেজা বাতাসে।
তুমি মেলবে দৃষ্টি খুঁজবে বৃষ্টি খুলবে বাহুর আঙিনা,
আমি বেআব্রু চোখে বলবো, কোনো সীমার বাঁধন মানি না।
এই আষাঢ় শ্রাবণ কদম দোপাটি গুলনার্গিস কামিনী,
মালঞ্চে সব নির্ঘুম, কবে আসবে রূপসী মালিনী।
তারা জানে না তোমার খোলা চুল দেখে মেঘেরা গুমোট ঈর্ষায়,
তুমি ফুল-জল সবই কুড়োবে, যখন ভিজবো দুজন বর্ষায়।
এই নবধারা জল রোদ মেঘ ছল ধুয়ে দেবে দেখো নিশ্চিত,
বজ্রনিনাদে ধরা থরথর ঘরে যাবে সাধু-পুরোহিত।
নদী হিংসেয় পুড়ে দেখবে তোমার বাহু খুলে মেলা ভরা বুক,
বৃষ্টি কি তারে ভরাবে … এই তৃষ্ণায় সে-ও উন্মুখ।
এই বর্ষাকে যারা নারী বলে তারা বোঝেনি প্রণয় রঙ্গ,
মেঘ তো ভেজায় রমণীর মন, বৃষ্টি ভেজায় অঙ্গ।
নবধারা জলে ঘরে বসে চা শুকনো কালির কাব্যে,
হওয়া যায় কবি, কিন্তু তারে কে-ই বা পুরুষ ভাববে ?
প্রথমা বর্ষা নহলী নিনাদ কৃষ্ণ মেঘের চমকে,
ফেলে দেবো ছাতা খুলবো বসন জড়িয়ে ধরবো তোমাকে।
যে বারিশে তুমি লজ্জা হারাও আমি হবো সেই শ্রাবণী,
বর্ষা সোহাগে ঠোঁটে ঠোঁট … শুধু তুমি আমি … প্রেম এমনই।