তুমি আমি সেই তো কবেই
মৌনতা বরে রিক্ত,
আমাদের সুখি থাকা তাই
অহেতুকে অভিযুক্ত।
ভালো লাগা নির্বাক ক্ষণে
ঘিরে থাকি কথা পার্বণে,
কথা বলে জীবনের ঢেউ
কথা বেচে বেঁচে থাকে কেউ।
কেউ বোনে প্রশ্নের মালা
কারো আছে অভিযোগ জ্বালা,
কেউ দেয় উত্তর সব
প্রশ্নরা যেথায় নীরব।
আমাদের ছিলো না কখনও
অকথিত অভিমান,
কথা ছিলো মনে মনে, আর
দৃষ্টিতে আহবান।
তবু কথা ব্যাখ্যা শোধন
কারো মুখে বাণী প্রবচন,
কথা জপে পূর্ণতা খোঁজ
সেই খোঁজে অপূর্ণ রোজ।
দাবী দাওয়া বচনের রোষে
তুমি আমি বাঁচি গ্রহদোষে,
আমাদের চুপ থাকা ঘিরে
কতো কথা মিছিলের ভিড়ে !
তুমি আমি নিশ্চুপ, তাই
সভা দলে ঘোঁটে শূল,
ঠিক-শাপে শুদ্ধ সমাজ
আমরাই যেন ভুল।
তুমি আমি সেই দলে নেই
ঊনজনে বাঁচি এভাবেই,
আমাদের চুপ থাকাটাই
সামাজিক অপরাধ তাই।
সেই দল সরব চঁচল
আমরা তো চির বিহবল,
যুগে যুগে তারাই সমাজ
তুমি আমি বিমূঢ় বেলাজ।
আমরা তো মন-কথনের
অনুভূতি রোগে চুর,
নির্বাক কথোপকথনে
রচি জীবনের সুর।
সেই সুর কে-ই বা শোনে
কে বা তার প্রহর গোনে,
তুমি আমি ডোকরা পাগল
মৌনীতে খুঁজি কোলাহল।
হয় তো বা সেই কারণেই
হাসছি যে আজ দুজনেই,
কথা খুঁজে বেড়াক সবাই
তুমি আমি চুপ থেকে যাই।