যখন শুকনো নূপুর পায়ে,
পড়ে চরণ মাটির গায়ে,
জারুল গুলাস তখন নিথর
গ্রীষ্মের অনাদায়ে।

হোক বর্ণিল হালখাতা,
তবু রোদে জ্বলে পুড়ে পাতা,
শ্যামলিমা সব ধূসর, অলস
ধূলোমাখা সব ছাতা।

নিবাত আকাশে রোদ,
আতপে বহু জনমের ক্রোধ,
মেঘেরা কোথায়? প্রশ্নটা যেন
অভিমানী পরিবোধ।

জলের ঘ্রাণে দহন,
ঘামে লোনায় অম্লে দ্রবণ,
দুখ-পোষা বুকে ভারী নিশ্বাসে
নিরূদ ক্লেশিত রোদন।

এই বসুধার বুকে তাপ,
নেই বৃষ্টির টুপটাপ,
নবধারা জলে ধুয়ে ধরা কবে
শেষ হবে অভিশাপ?

কবে আষাঢ়ের জলধর,
গর্জে কাঁপাবে দুয়ার ঘর,
কবে কালো মেঘে ঢাকা রাজপথ
হবে নন্দিত সরোবর।

কবে শ্রাবণে কাদম্বিনী,
ভরাবে ভাসাবে মন্দাকিনী,
কবে রাগ অনুরাগ দুজনই বলবে
চিনি গো তোমায় চিনি।

নগ্ন শরীরে ... সোঁদা ঘ্রাণ,
হৃদয়ে ছায়াবীথি তলে স্নান,
আর আকাশের গায়ে কৃষ্ণ প্রলেপে
বারিবাহ আলোয়ান।

হবে কামিনী কদমে প্রেম,
লতাগুল্মরা হবে হেম,
নদীতটে ভেজা বালিরা হারাবে
ধূসর গুমোট ফ্রেম।

দশমেসে ঋজুতায়,
মন বেখেয়ালী হতে চায়,
হয়তো বা তাই দিন গোনে মন
বর্ষা প্রতিক্ষায়।