মেঘের পালক বিদায় নিলো ভাদ্র অভিমানে,
আমার মতোই অন্তর তার ... কী ভাবে কে জানে ?
অনুষ্ণকাল কাটলো আমার জমাট অনুরাগে,
চাইলো না মন ফিরতে ঘরে ফাগুন আসার আগে।
এমনিভাবেই বেঘর ছিলেম গ্রীষ্মদাহের আঁচে,
চূর্ণ হওয়ার আশায় গেছি রৌদ্র-দেবের কাছে।
অনড় রোদে খুব পুড়েছি চাইনি শীতল ছায়া,
টুকরো বোধের ধূল কুড়িয়ে কে চায় বাঁধন-মায়া ?
শরত সুখে হাস্নাহেনা জোছনা যখন মাখে,
আমার ঘুমের ইচ্ছে তখন মুখ লুকিয়ে রাখে।
চোখ জেগে রয় রাত কথা কয় সিক্ত অভিমানে,
অন্য সবাই হয় তো ঘুমোয় ঘুম-পাড়ানির গানে।
তেমনি আমার ঘুম আসে না বর্ষাবরণ সুরে,
শ্রাবণ মেঘে মন ছুটে যায় ঘর থেকে খুব দূরে।
ক্লান্তিরা সব দশমেসে ভুল, ভ্রান্তিরা সংসারে,
আমার দুচোখ স্বপ্ন খোঁজে ইচ্ছে-নদীর ধারে।
অধর রঙের চৈত্রে যখন মাতলো ফুলের ভিড়,
আউল বাউল স্বপ্নরা সব খুঁজলো মনের নীড়।
কিন্তু আমার হৃদয় ঘরে আশমানী আর শ্বেত,
স্বপ্ন ঘুমোয় যত্নে ... শুধু আমিই অনিকেত।
ঘরের শাপে বাঁধলো না কেউ, কেউ দিলো না বর,
করলো না কেউ খুব যে আপন করলো না কেউ পর।
জনম গেলো তাও হলো না পাওনা-দেনার ভয়,
দেয়াল ঘেরা রইলো শরীর ... মনটা নিরাশ্রয়।