তুমি যেই স্পর্শ দিয়েছো আমার মনের শরীরে,
পৃষ্ঠকে করেছো শীতল আগুন জ্বলছে গভীরে।
সে আগুন কার যে দেয়া জানতে তো তুমি চাওনি,
হিম সুখে মিলন খুঁজেছো নিদাঘের স্বাদ নাওনি।
আমি বাঁচি আগুনের আঁচে মৃত্তিকা চাপা ভাবনায়,
দহনেই দিন গোনে মন বিরহ-বর্ষা কামনায়।
তুমি যেই বৃষ্টি দিয়েছো আমার ভাবনা-উঠোনে,
ধুলো ভিজে মাতম করেছে চিরজৈষ্ঠ্যের জমিনে।
সে জমিন কার দুখে শুখা জানতে তো তুমি চাওনি,
ছিটেফোঁটা ছায়াই খুঁজেছো রৌদ্রের ক্ষার নাওনি।
আমি বাঁচি রৌদ্রের শাপে ধুলো-কাদা-মাটি ঊষরে,
শুষ্কতা মেখে মাতি দ্রোহে মন রাঙে খর ধূসরে।
তুমি যেই বর্ণ দিয়েছো আমার নিবাত আকাশে,
নির্জলা মেঘেরা হেসেছে এমন ভ্রান্তি বিলাসে।
সেই ভুল কার যে বকেয়া কার দেনা কার পাওনা,
তুমি শুধু পাতা ওলটাও হিসেবের খোঁজ নাও না।
এমনও তো হতে পারে তুমি চাওনি ডুবতে অতলে,
অদেখার আসল দেখোনি প্রেমকে দেখেছো নকলে।
তুমি যেই নকল দিয়েছো তাই নিয়ে বাঁচি এভাবেই,
তুমি আছো আমি আছি, তবু চেয়ে দেখো, আর কিছু নেই।