স্পষ্ট করেই আজও আছে মনে …
নেই তুমি এই নিবিড় আলিঙ্গনে।
কিছুই তো নেই আগের মতো, তাও,
রোজ মনে হয় সবই ফেরত চাও।
আমার বুকে নিঃস্ব বিষাদ ওম …
গলছে অতীত জ্বলছে ব্যথার মোম।
ফেরত দেয়ার আর তো কিছুই নেই,
ইচ্ছেরা মূক, আর বলে না … দেই?
মৌন এখন মন মুকুরের কবি …
কলম তুলি চারকোলে ভুল ছবি।
আয়নাতে আর যায় না তারে চেনা,
ভুলেও গেছি কার কি ছিলো দেনা।
আজ কপোলে হৃত নিয়তির ভাঁজ …
নেই ভাবনায় কাব্য কথন সাজ।
পট বেওয়ারিশ কালসিটে ছাপ খাতায়,
রুগ্ন শিরার হাত স্নেহহীন মাথায়।
মুহূর্তরা ক্ষণ হয়েছে আগেই …
সময় এখন কৃষ্ণ, কালের দাগেই।
খেয়াল এখন জলধিসম ধীর,
মন আকাশে দুঃখ-চিলের ভিড়।
সংজ্ঞাগুলো বিরস বেরঙ মেটে …
মন্ত্র শ্লোকের তালটা গেছে কেটে।
বৈতালিকেই খুঁজছি অসুর-সুর,
ভয় লাগে না চিনতে অচিনপুর।
হিজল পাতায় কর্ণকুহর রেখে …
ইচ্ছে করে ঘুমোই সবুজ মেখে।
গাছ তো জাগে বিষাদ হরিত পুষে,
একটু না হয় নেই সে গরল শুষে।
দুই পলকে নেই এখন আর ভার …
দৃষ্টিতে ঠায় স্নিগ্ধ অহংকার।
অশ্রু এখন হাসির দোসর হয়ে,
হরিষ বিষাদ সব নিয়েছে সয়ে।
আকস্মিকের অপেক্ষা আর নেই …
যা আছে তাও হারিয়েছে আজ খেই।
এই ঘুড়িরও সূতো যদি টানো,
মন্দ আছি … যায় না বলা, জানো?
কেমন আছি, জানতে সবাই চায় …
যা-ই বা বলি, কার কি আসে যায়!
কেমন আছো, আর কি হবে জেনে,
প্রশ্ন থাকুক প্রশ্নবোধক মেনে।
এমন কিছু ভাবনা বোনে দিন …
সন্ধ্যে গোনে নিরাশা বিলাস ঋণ।
রাত্রি আমায় জোনাক আলোর সাথে,
দেয় তুলে রোজ নির্ঘুমতার হাতে।
ঘুমহীনতায় মন কথনের রাত ...
ছাড়লে ঠিকই এই প্রণয়ের হাত!
তোমার দেয়া কথারা প্রহর গোনে,
স্পষ্ট করে তাও আছে আজ মনে।