বুকের ভাঁজে সবুজ পাহাড়, ভারী যন্ত্রণা
আমি অন্ধকারে ছুটে চলি, রসায়নে বেদনা।
বাতাসের ডানায় আকাশ নামে!
গোপনবৃত্তে শিশির জমে।
ধূলোমনে কুড়িয়ে নেই নগ্নদেহ
জনাকীর্ণ বারান্দায় ঠোঁট বদলের মোহ।
সরাইখানায় স্বরলিপি হাতে জেগে থাকে বাল্যবন্ধু
লপায়ে-পায়ে ক্লান্তি নিয়ে বিষাদের মহাসিন্ধু।
কেপে কেপে ওঠে সমীকরণের ছায়া
রক্তেমাখা চাদরে নজরবন্দি মায়া।
আহাহা গোলকধাঁধায় উন্মুখ পতন
যাবতীয় মুদ্রায় নিদ্রালুপ্তির ব্যাকরণ।
শাস্ত্রীয় হিমহাওয়ায় তোমার 'হয়ে ওঠা'
দিকভ্রান্তী যুবতিগন্ধে আমার ফুল হয়ে ফোটা।
শোনো তবে কেন বিষণ্ণতায় কামনার পাপড়ি শুঁকে- শুঁকে
মায়াবতী চিত্রা হরিণটারে খুঁজি
আকাল- উৎসব পার্বণে, বেড়াল-হাটা পায়ে ভালোবাসা পুঁজি।
বিশুদ্ধ বিসর্জন দেই ঘামে ভেজা কিশোরীর ওড়নার সলাজ আঁচলে
রহস্যছায়া ঘীরে থাকে আবেগ তাড়িত ক্ষণকালে।