যাতে না লাগে
কলঙ্কের কালি,
শিশু বয়সেই ধরেছে
এক অগোছালো সংসারের হাল,
কালো রাতের আঁধারে
অচেনা নৌপথে তুলে ছিল রঙ্গিন পাল,
একটাই বাসনা ওরা যেন থাকে অনেক সুখে
যাতে না লাগে কলঙ্কের কালি কারো মূখে।।
ভারি নৌকার মাস্তুল
আজো টেনেই চলছে সেই নাবিক
যদিও মোটা রশির দাগ পড়েছে গাড়ে
তবু্ও তাদের সুখে সে আছে বেশ স্বভাবিক,
কখনো মনের ছোট্ট কোণে আনন্দ উল্লাস জাগে
কিছু প্রিয় মুখ হয়তো আছে সুখে মোর সামান্য ত্যাগে
আমার থাকুক না কষ্ট আরো সম্মুখে
তবু্ও যাতে না লাগে কলঙ্কের কালি কারো মুখে।।
কত নিশি কেটেছে ঘুম হীন, ক্ষুধার্ত, অনাহারে
তবু্ও মুখখানা সদাহাস্যজ্বল রয়েছে দিন ভরে,
অক্লান্ত পরিশ্রম করেও মুখে নেই ক্লান্তির ছায়া
কথার ছলে অট্টহাসি দিয়ে বুঝিয়েছে আনন্দের মায়া,
যাকগে হয়তো আছি একটু দুঃখে
তারা ত আছে সুখে,
তবুও যাতে না লাগে কলঙ্কের কালি কারো মূখে।।
আনন্দ উল্লাস যৌবনের স্বাদ
ত্যাগ আর মহিমার মাঝে হয়েছে বিষাদ,
ন্যায় নীতি আদর্শের বাহিরে যাওয়া হয়নি কখনো
সৎ, সুস্থ, সুন্দর, জীবন হবে একদিন সুখে মোড়ানো,
এই প্রত্যাশা বুকে চেপে ছুটে চলেছে বহু দিকে
একদিন সুখ পাখি আসবে জেকে
নয়তো জীবন টুকু ক্ষয়ে যাক কারো সুখে
এতেই শান্তি থাকিবে পূড়া বুকে
তবু্ও যাতে না লাগে কলঙ্কের কালি কারো মুখে।।
২২.১২.২০২০
(কোন এক সাংসারিক যোদ্ধার
জীবন থেকে নেওয়া কাব্য।