প্রচন্ড কষ্ট, বড় ধরনের বিপদে বা কারো দেওয়া খুব বাজে রকম আঘাতের সময়গুলোতে  আমি ভালোলাগাদের খুঁজি,
নিজেকে স্বাভাবিক করতে একটা নির্জন জায়গা খুঁজি,
অনেক সময় পাহাড়ের ভেতর উঁচু নির্জন জায়গা বেছে নেই,

পাহাড়ের উপর বসে আকাশের দিকে তাকাইয়া থাকতে অনেক ভাল লাগে, মেঘেদের ভেসে বেড়ানো দেখতে আরও  ভালো লাগে ... মাঝে মাঝে মুগ্ধ হয়ে মেঘের দিকে তাকাইয়া নিজেকে মনে করি আমি মেঘের ভেলায় ভেসে যাচ্ছি।

কখনো কখনো গাছের পাতার কুচকাওয়াজ, পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনে পাশ ফিরে তাকাই, এই সময় তুমি কাছে থাকলে তোমাকে এবং তোমার চোখেমুখের মুগ্ধতাটুকু আরো বেশি মুগ্ধ হয়ে দেখতাম, এমনটাই ভালো লাগে।

সুরমার পাড়ে শো শো করে যে বাতাস হয়, সেই বাতাস আমার ভালো লাগে, উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে তোমায় নিয়ে ডিঙি নাও ভাসিয়ে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে শুনতে বাতাসে তোমার কপালের উপর চলে আসা অবিন্যস্ত চুলগুলোতে আঙুল ছুঁইয়ে দিয়ে এলো মেলো চুল গুলুর স্পর্শ নিতে আমার ভালো লাগে।

মাঘের শীতের রাতে ধুম কুয়াশার  মাঝে একই চাদরে মোড়ানো হয়ে ধোঁয়া ওঠা চা আর প্রিয় উপন্যাসের গল্পে ডুব দিতে ভালো লাগে।

মাঝে মাঝে পাশের বালিশটাতে উঁকি মেরে তোমার ঘুমন্ত ভীষণ নিষ্পাপ মুখটা দেখে নিজের অজান্তেই মিটিমিটি হাসবো ... এটাই বোধহয় আমার ভালোলাগে।

একটা সময় মনে হয় আমি নির্জন পাহাড়, সুরমার মাতাল ঢেউ,  খুঁজি না ... আমি ধোঁয়া ওঠা চা কিংবা প্রিয় উপন্যাসে ডুব দিতে চাই না,
দিনশেষে আমি তোমাকে খুঁজি
দিনশেষে সবকিছুর সাথে  আমি তোমাকে চাই।
তোমার মাঝেই সকল ভাল লাগা খুঁজে পাই।

সেলবরষ মামুদপুর (কাকিয়াম)
ধর্মপাশা সুনামগঞ্জ।
১৯.০১.২০২১.