লেকের ধারে দাঁড়িয়ে বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে
উপভোগ করছিলাম শীতের রুদ্দুর-
চারদিকে এক দারুন স্তব্ধতা,
লেকের জালেও নেই কোনো তরঙ্গ
নেই পাখিদের ডানা ছট্ফটানো;
আছে কেবল,
মৃদু হাওয়ায় গাছের পাতায় ঝিরিঝিরি শব্দ।
হঠাৎ, পাশের ওই গুলমোহর গাছটা থেকে
সুন্দর একটা ফুল ঝরে এসে পড়লো গায়ে-
চোখ তুলে দেখলাম, গাছটা দারুন দেখাচ্ছে
ঠিক যেন আসন্ন যৌবনা কোনো কিশোরী;
যেন তার লাল আঁচলখানি ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে -
মন বললো, “ইস, ও যদি মানবী হতো!
খুব কাছের করে পেতাম হয়তোবা” ।
খুব ইচ্ছে হলো তার একটুখানি স্পর্শ পেতে-
গাছটার গোড়ায় গিয়ে হেলান দিয়ে বসতেই
চোখ দুটো মুদে এলো,
যেন তার কোলেই ঘুমিয়ে পড়েছি আমি।
আবার মনে হলো, ওর সঙ্গে যদি কথা বলা যেত!
হ্যা, বলা তো যায়-
কণ্ঠ নেই তার, অনুভূতি তো আছে;
ওকে ডেকে বললাম-
“হে সবুজ কিশোরী, আজ দারুন এ নিস্তব্ধ বেলায়
দুজনে একাকী,
দুজনেই দুজনার কাছে আছি,
কিছু কথা বলো-
কিছু তোমার শোনাও, কিছু আমার শোনো
কিছু কথা বলো”।
অমনি আরেকটা ফুল ঝরে এসে পড়লো আমার গায়ে,
যেন আমার আহ্বানে সারা দিয়েছে 'সবুজ কিশোরী'-
আমি তো প্রথম দেখাতেই মন হারিয়েছিলাম,
এবার যেন সেও আমার প্রেমে পরে গেলো;
তারপর গভীর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হলাম দুজনে
আমি আর 'সবুজ কিশোরী'।