কি জানি কখন তোমায় ভালোবেসে ফেলি, আশঙ্কা হয়;
তাই যখনি সামনে আসো
সবসময় উদাসী হয়ে থাকি,
তোমার মনোযোগ ভিন্নদিকে গেলেই
চুপচাপ কেটে পড়ি সেখান থেকে,
বোধ হয় লক্ষ্য করেছো সেটা-
কি করবো বলো-
তোমাকে দেখে চোখ দুটো না হয়
জোর করে মুদে নিলাম,
কিন্তু তোমার সুতীব্র অঘ্রান
যা আমার নাক হয়ে সমস্ত ধমনী-শিরায় প্রবাহিত হয়
ভ্রমিত করে আপাদ-মস্তক,
তাকে আটকাই কেমন করে?
তোমার উপস্থিতি টের পেয়েও মনটাকে না হয়
শেকলে জড়িয়ে রাখলাম,
কিন্তু তোমার মুক্ত-ঝরা খিলখিলে হাসি
যা আমার কান হয়ে মস্তিষ্কের খাঁজে খাঁজে
ঝংকার তোলে প্রনিয়ত,
তাকে থামাই কেমন করে?
আমি না হয় উদাসী হলাম
দূরে দূরে রাখলাম নিজেকে সরিয়ে,
কিন্তু যখন তুমি নিজে আসো, হাত ধরে টানো
তোমার সে মায়াবী স্পর্শ সমস্ত শরীর জুড়ে
আবর্তী শিহরণ জাগায়,
সেই কম্পন রোধী কেমন করে?
তুমি কি জানো?
প্রতি রাতে আমার পাশে তোমার অস্তিত্ব টের পাই,
আর আমার দৃষ্টি, মন, অরণ্য-পর্বত-গিরিখাত
নিমিষে ঘুরে বেড়ায় অনায়াস,
ভাবনায় পরিতৃপ্ত করি তোমায়-
যেন আমার হাতেই পূর্ণতা লাভ করো;
আমার প্রতি রাতের এই যে স্বপ্নাবেশ
যা কেবল নির্ভেজাল তোমাকে নিয়েই
আমি তো পারিনা ইচ্ছে করলেই তাকে
প্রত্যাখ্যান করে ছুঁড়ে ফেলতে,
আমি তো পারিনা ইচ্ছে করলেই
তোমার মতো হেলায় অন্য আবেশে হাত বাড়াতে-
আমারও যে মন আছে একটি,
নিগূঢ় ভালোবাসা প্রার্থী।