উতলা উদলা তুই ছুটছিস কোথায়!
উড়না যে নেই বুকে খেয়াল আছে কি?
প্রজাপতির পেছনে ছুটছিস!
প্রজাপতি ধরার বয়েস কি আর আছে তোর?
যা, বাড়ি ফিরে যা!
গায়ে গতরে বেড়েছিস, বুদ্ধি কি আর বাড়বেনা?
তুই প্রজাপতির পেছনে ছুটছিস, আর কালো বোলতাগুলো
তোর চারপাশে ঘুরঘুর করছে,
হূল ফোটানোর ধান্ধায়;
যা, বাড়ি ফিরে যা!
নতুন একটা যন্ত্রনা কটাদিন বাদে বাদেই
তোকে জ্বালিয়ে বেড়ায় আজকাল;
তোর মায়ের নাকি মনে ভয় ঢুকেছে,
তেরো-চৌদ্দ ফাল্গুনেই তুই সবার নজরে পড়েগেছিস;
থাক, ঘরের ভেতর থাক!
স্বপ্ন দেখার বয়েস তোর, দেখছিসও ভরপুর,
তবে ওই সব ছাইপাঁশ ছাড়, মনটা দে ঘরের কাজে;
নাচ, গান, ড্রামা, এসব বাড়াবাড়ি আর করিসনা,
পরের ঘরে যাবি যেদিন, বংশের মানসম্মান আর থাকবে না;
থাক, ঘরের ভেতর থাক!
আজকাল তোর সব কিছুতেই ভয় আর সংশয়
কোনটা করবি, কোনটা বলবি, মাথায় ধরেনা
মা-কাকিমা, দিদি আর সই, নিজ নিজ মতো সবাই
নিত্য নতুন তোকে দেয় আধো আধো শিক্ষা;
শোন, তাদের কথাই শোন!
বাড়ন্ত শরীরে একটা বাড়ন্ত মনও আছে
সেকথা কারো মনে নেই, আর রাখবেই বা কেন!
হৃদপিন্ডে স্পন্দন আছে, থাকুক, তুই শুধু ফরমায়েশি খাটা শেখ
আষ্টে-পিষ্টে তুই আজন্ম পুরুষ সমর্পিতা;
শোন, তাদের কথাই শোন!