'ও কলম কাকু,
শোনাও না একটা গল্প'-
'গল্প শুনবি? কোন গল্প?'
'ঐ যে ধূর্ত শেয়াল আর জূজূ-র গল্প'-
'শুনবি? বলছি তবে শোন'-
তারা ছিল বনের প্রাণী
থাকতো গহীন বনে,
তারা ছিল সবাই রাজা
রাজত্ব আপন মনে।
বনের বাইরে গ্রামের ভেতর
ছোট্ট পরিসর,
থাকে কারা ভিন্ন চালে
জীবন মুখর।
বন্যেরা সব গ্রামে যায়
গ্রাম্যরা যায় বনে,
শত বছর এমনি কাটে
সুখী প্রাণের গানে।
একদিন এলো এক চতুর শেয়াল
নীল ডোবা তার গা,
কোমল যত বন্য মনে ধন্ধ ধরায়
দখল রাজত্বটা।
আরেকদিকে গন্ধ পেয়ে
গ্রামে আসে জূজূ,
নিজের প্রতীক নিশান উড়ায়
গ্রাম্য ভয়ে কুঁজো।
ফন্দি আঁটে চতুর শেয়াল
ফন্দি আঁটে জূজূ,
কে কার দখল কেমন নেবে
লাঠিয়াল সাজু।
সহজ সরল বুনোরা সব
সহজ গ্রাম্য পাল,
জানতো নাকো ঘুণাক্ষরে
ষড়যন্ত্রী জূজূ-শেয়াল।
শেয়াল রঙ্গে, জূজূ-র সঙ-এ
বন গ্রাম মাতোয়ারা,
ভ্রমের ভ্রমে অন্ধ সবাই
বেহুঁশ আত্মহারা।
ডাকলে শেয়াল, ডাকলে জূজূ
এক পায়ে সব খাড়া,
বিচ্ছিন্নতাই নাকি উন্নয়ন
বলে বেড়ায় তারা।
রাজা শেয়াল, রাজা জূজূ
তাতেও কি মেটে ক্ষিদে?
'সব সাম্রাজ্য আমার চাই'
মরুক লড়ে সাধা-সিধে।
ছল চাতুরির কারোবারে
গ্রাম্য বন্যে বিভেদ টানে,
গ্রামের পারে বনের ধারে
দুই পক্ষে অস্ত্র শানে।
গ্রাম্য বন্য দুই মেরু আজ
খুনের রঙ্গে হোলি খেলে,
শেয়াল জূজূ-র ধূর্ত চালে
মাংস পোড়া গন্ধে ভোলে।
পাহাড় পারে, চুপিসারে,
শেয়াল জূজূ-র মেল,
গাঁধার দল মরে মারে
কেও বোঝেনা ঐ খেল।