সেদিন সেই সকালে
বর্ণালী আর আমি, আমরা দুজনে
জানা পথে,
অজানা এক উদ্দেশ্যে;
শুধু পাশাপাশি চলার জন্যেই বোধ হয়
হেটে যাচ্ছিলাম সুদীর্ঘ পথ ……………
দো-দোল হাওয়ায় রিমঝিম বৃষ্টিতে
ভিজছি দুজনেই, তবু ভ্রূক্ষেপহীন;
একই ছাতার তলায় তুমি আমি
দুজনে এতো কাছে-
ফোঁটায় ফোঁটায় যেন কাঁটা দেয়া
শিহরণ ছিল।
বৃষ্টিতে সম্পূর্ণই ভিজে গেছো তুমি
সাপ্টে গেছো অর্ধভেদ্য সালোয়ারে;
শরীর তোমার কম্পমান যদিও,
জ্বলন্ত কয়লার মতোই যেন
সমস্ত তোমার উম পরিচালন করছিলে
আমার শরীরে।
চুল হয়ে গাল বেয়ে নামছে চিকন জলধারা
বুক দুরুদুরু, কাঁপছে দু-ঠোঁট,
অবনমিত চোখের ভেজা পাতার ফাঁকে
তুমি তির্যক তাকাচ্ছিলে মাঝে মাঝে; -
আমি নির্নিমেষ দেখছিলাম তোমায়,
বিশেষ করে কম্পমান ওই ঠোঁট দুটো;
ইচ্ছে তো করছিলো অজস্র চুম্বনে
ভরিয়ে দেই তোমার সমস্ত গাল।
কথাহীন দুজনেই নিশ্চুপে হেটে যাচ্ছিলাম,
তবু মনেমনে ছিল হাজার কথামালা
যেন টেলিপ্যাথিতে অভিযোজনীয় আবর্তন
আর শুধু স্পর্শে দুই অন্ধের বোঝাপড়া।