বর্ষার সেই সঘন রাতে
তুমি একবার এসেছিলে আমার ঘরে,
বৃষ্টিতে শরীরে হৃদয়ে সম্পূর্ণ ভিজে গেছো তুমি
উড়না লেপ্টে আছে বুক-পিঠে -

সম্পূর্ণ ভেজা তুমি, তবু জ্বলন্ত
আগ্নেয়গিরির মতো লেলিহান উত্তপ্ত;
চোখে পূর্বরাগের চঞ্চলতা
ঠোঁটে শিহরণের কম্পন,
যেন বহুদিনের সঞ্চিত কিছু
বলার জন্য উদগ্রীব-
তুমি গোপন কিছু চাইতে এসেছিলে সেদিন।
এমন এক দিনে তোমাকে কামনা নয়,
কল্পনাও করতে পারিনি আমি;
তুমি এসেছিলে-
তুমি এসেছিলে সেদিন
সম্পূর্ণ সমর্পনের ইচ্ছে নিয়ে।


মোম জ্বালিয়ে বসেছি টেবিলে,
সারারাত পড়বো 'শ্যালি';
আজ এক নিঃস্বাশে গিলে খাবো
বিরহ, প্রানপন-
দরজায় তখুনি আহবান উন্মোচনের,
ঘন ঘন কে যেন কড়া নাড়ে দরজার, মনের-
"কে এলো এই অবাঞ্ছিত রাতে!"
এই সময় তোমাকে দেখে আমি
চমকাবো না পুলকিত হবো!
অস্থির মন-

তুমি? এই রাতে? আমার ঘরে, একাকী?
অসংখ্য প্রশ্ন জাগে মনে-
আমার চোখ নিশ্চই সে সব প্রশ্ন
ইতিমধ্যে করে নিয়েছে তোমাকে ?
জবাব দাওনি তুমি কোনো
সেই ভেজা, ঠায় দাঁড়িয়ে আছো
অবাক প্রশ্নাতুর চোখ নিয়ে-

সুতীব্র চাহনি তোমার
যেন বলতে চাইছে কতকিছু,মুখে আসছেনা-
তোমার নির্নিমেষ চোখে দেখি
গভীর সমুদ্র, সমুদ্রে ঘূর্ণিবাত প্রচন্ড!
আমি তখনও বুঝিনি তোমার চাহনির পরিভাষা,
নাকি বুঝতে চাই নি জানিনা;
তুমি তাকিয়ে তখনও নিঃস্পলক,
সমুদ্রে ঝড় উত্তাল- বাইরে ঝড় আরো তীব্র।