ঠিক সাতটা যেই না বাজলো, উঠে গেলাম দুরন্ত বেগে
সূর্য দেব আজ বেজায় খুশি, জানালেন তার উত্তম তেজে
তৎক্ষণাৎ সবাই হয়ে উঠলো ব্যস্ত
ঘড়িতে তখন আটটা বাজে
উঠলো ডাক সে কিছু দূরে
“চলো চলো! শিগ্রহ চলো” ভাসলো আকাশ এই নতুন সুরে
ঘড়ির কাঁটা যখন পড়লো নটায়, আমরা তখন প্রায় মধ্য রাস্তায়
যেতে যেতে বিশাল বাসে, সবাই আনন্দে উঠলো মেতে
খামার-জঙ্গল সব পেরিয়ে, উঠলাম নতুন ধাঁধার শিরে
বৃহৎ বাসের কী যে হলো, মাঝ রাস্তায় থেমে যে গেলো
সব বাধা পার কোরে, নতুন পথের হাত ধোরে
নতুন গতিতে চললাম মোরা, পেছনে ফেলে সব বাধা
পৌঁছে গিয়ে গন্তব্য স্থানে, ভোরে উঠলাম অনন্ত উচ্ছাসে
অভ্যন্তরে আবেগ উঠলো জেগে, যখন চিনলাম নিজেকে আসল নামে
প্রভাতের আলো ঠিক মাথার ওপর, উঠলো এক আওয়াজ বেশ জোরে
খেলার মজায় উন্মত্ত সবাই, বড়-কিশোর মাঠের অসংখ্য সিপাহী
অপরাহ্ণের যেই না শুরু, লাগলো মুখরোচকের বিরাট মেলা
তালিকায় নিশ্চয় থাকবে ইলিশ-ভেটকি-রুই-কাতলা
বিকেলে ফুলের গন্ধে ধুয়ে যাবে, সমস্ত গ্লানীর নির্মম মায়া
সন্ধ্যার আলোয় মন গেলো ভরে, দিনটা যদি রাখতাম কাছে ধোরে
আবার কে জানে কবে আসবো ফিরে, দিন রাত্রি কত পার কোরে
ফিরবো আবার সেই একই তীরে, নতুন ভিড়ে বন্ধুদের নিয়ে
আবার চড়ুইভাতি হলেই হবে, একসাথে থাকলে সবাই তবে