পুড়ছে ও জ্বলিতেছে প্রিয় আমার বঙ্গদেশ,
ভয় থাকছে মানুষগুলো, দুঃখ তাদের নাহি শেষ!
বক্ষে শুধু কষ্ট তাদের, ঘর-বাড়ি ও দোকান জ্বলে,
চোখের সামনে মৃত্যু তাদের, অনাদরের হাসি হাসে!
সময় নেই বিলাপ করবে, প্রাণ নিয়ে যখন টানাটানি,
প্রাণটা থাকলে তবে কিনা, অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবি!
তবে অপরাধীরা স্বাধীন হয়ে ঘটাচ্ছে অনাসৃষ্টি,
মানুষ না, ওরা আস্ত পিশাচ, সাক্ষাৎ শয়তানের কৃষ্টি!
নিয়ম খাটে না তাদের বেলায়, জয় গান করে অবহেলায়।
রাজনীতি হবে, সত্য আসিবে না সামনে—
হোক না কতই প্রতিবাদ, দোষ হবে না প্রমাণ কভু
ডাকো আল্লাহ, হয় ডাকো প্রভু!
প্রশাসন তো দিচ্ছে শুধু "ভোট ব্যাংকে" ঠেলা,
ধর্ম তো খেলার বস্তু, তাই নিয়ে হচ্ছে খেলা!
আইন-কানুন এই দেশে বেজায় অপদার্থ,
গুঁজে দেবেন টাকা কিছু, যদি থাকে কিছু স্বার্থ।
আর কোরো না কোনো ভাবনা, পাইয়া গিয়ে খাসা ইন্ধন,
তোমার কাজটি হয়ে যাবে, চিন্তা করোনা একদম!
যতসামান্য মান ছিলো, সব পিছনে হারিয়ে,
দলে-দলে হিংস্র খোক্ষস এগিয়ে চলে, কত কাটা-মুণ্ডু মাড়িয়ে!
এদিকে ছেঁড়া চোটি চাটতে থাকে,
শাসকের পোষা কুকুর-বেড়ালে!
কে করবে রক্ষা? নেই তো সে জানা,
যারা ভুগছেন তারাই জানে, যেই কষ্টে তারা ঢাকা।
"এ নরকে আমরা কেন মরছি?"
এই প্রশ্নই শুধু তাদের মুখে—
ওদের কি উত্তর দেব? বলুন না ভাই জলদি!
বলে উঠলুম,
সরকার বুঝি তোমাদের, দুঃখ দেবে ঘুচায়।
না-না! তা কি করে হয়?
তারা তো ব্যস্ত এখুন সত্য ঢাকতে, তাই!
তা না হলে, পুলিশ তো আছে, আর কোরো না ভয়;
তারা তো মাত্র পুতুল, আসল খেলা তাদের হাতে নয়!
তাহলে এবার কি করণীয়?
যদি বলি আমরাই তো পারবো নিশ্চই, বিচারটা এমন মন্দ নয়!
আমরা কি শুধু অন্যায়কে প্র্রোৎসাহোন দিতে পারি
চক্ষু বন্ধ করে, উত্পীড়ণ সহ্য করতে থাকি?
তাই যদি হয়—
আমাদের পরিণতিও এই একই হোক তবে,
প্রচণ্ড অগ্নিশিখায় জ্বলে পুড়ি,
আমাদের উচিত শিক্ষা, তখনই হবে!