জীবনের অনেকটা পথ হাঁটা হলো,
অনেক কিছু দেখার সুযোগ হলো।
পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ উপভোগ করা হলো,
তবু অতৃপ্ত আত্মা হঠাৎ গুমরে কেঁদে উঠলো।
পৃথিবীর অনেক কিছুই আমার দেখা হয়নি,
পৃথিবীর সুন্দর সুন্দর নদী, সাগর,মহাসাগর
পাহাড় দেখা হয়নি।
দেখা হয়নি পৃথিবীর ঐশ্বর্য মন্ডিত শহর,
দেখা মেলেনি ভেনেজুয়েলার সুন্দরী রমনীর।
আমি দেখিনি মার্ক টোয়েনের সমাধি স্হল,
আমি ছুঁয়ে দেখিনি রাইন নদীর জল।
আমি বহুবার ভেবে দেখেছি পৃথিবীর সব মানুষ
সব কিছু ভোগ করতে পারে না,
সৃষ্টিকর্তা সব মানুষকে সুযোগ সুবিধা সমান দেন না।
অনেক মানুষ পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অনেক
সৌন্দর্য অবলোকন করে,
অনেকে সৃষ্টির অনেক সৌন্দর্য উপভোগের বাইরে।
আমারতো সাধ জাগে মহাকাশ যানে চাঁদের দেশে
যাই,
কখনো ভাবি মহাসাগরের তলদেশে ঘুরতে যাই।
আমি এটাও ভেবে দেখেছি চাইতে হলে যোগ্যতা থাকা
লাগে,
কোন কিছু পাইতে হলে সাধনার সাথে জড়িয়ে থাকা লাগে।
অবশেষে আমি নিশ্চিত হলাম সাধনা আমার হয়নি; যোগ্যতা অর্জিত হয়নি,
তবু আমি পৃথিবীর অনেক বড় বড় জিনিস দেখেছি বলে বঞ্চিত হইনি।
আমি আকাশ দেখেছি, আলোকিত চন্দ্র দেখেছি,আমি
উজ্জ্বল তারকা মন্ডলি দেখেছি,
আমি তরঙ্গায়িত সমুদ্র দেখেছি, সূর্যের উত্তাপ দেখেছি, দৃঢ় চিত্তে দাঁড়িয়ে থাকা জীবন্ত পাহাড় দেখেছি।
আকাশে মেঘেদের ভেসে যেতে দেখেছি আবার বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে দেখেছি,
আমি ঝড় দেখেছি, ঘূর্ণিঝড় দেখেছি,সিডর,আইলা এবং সুনামী দেখেছি।
আমি এসবের মধ্যে সৌন্দর্য দেখেছি,ভয় পেয়েছি এবং উপভোগ করেছি,
আকাশের দিকে তাকালে আকাশ দেখা যায় কিন্তু সৌন্দর্য
আন্তর দিয়ে উপভোগ করেছি।
সূর্যের বিশালতা দেখে আমি সৃষ্টির প্রশংসা করেছি সে সর্বত্র তাপ বিতরণ করে,
আমি চাঁদের আলোর নিরপেক্ষতায় বিস্মিত হয়েছি সে কোন ভেদাভেদ না করে সর্বত্র আলো সরবরাহ করে।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমার সোনার বাংলায় জন্মে
হয়েছি আমি ধন্য,
সমস্ত প্রশংসা তোমার হে মহান, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি তোমার মহানুভবতায় করো মোদের গণ্য।