প্রতীক পুজা যতই করি।
বিপদ কালে থাকব লড়ি।।
নীরব হয়ে থাকলে পরে,
বাঁচব ভবে কেমন করে?
যতই কাঁদি চরণ ধরে,
মরার আগেই যাব মরি।।
প্রতী ক কভু কয়না কথা।
বোঝে নাতাই মনের ব্যথা।।
জন্মাবধি করছি পুজা,
শীতলা কালী দশ ভূজা,
হচ্ছি নাকেউ কভু সোজা,
অসৎ পথে সঙ্গ ধরি।।
যুক্তি তর্কে কেনা পটূ।
স্বার্থ্যের লাগি বলছি কটু।।
বাস্তব কথা কেউনা শোনে,
পূর্ণ হতে রত্ন ধনে,
কাঁদছি শুধু সর্বক্ষনে,
অশান্তিকে রাখছি ভরি।।
অবাস্তবকে বিশ্বাস করে।
বাস্তব হতে যাচ্ছি সরে।।
রঙ্গের খেলা খেলছি সবে,
শুভ চিন্তা কেমনে হবে?
দ্বন্দ্ব ভোগ করছি ভবে,
কাঁদছি শুধু ধুলায় পরি।।
উপকারের ছল চাতুরী।
ক্ষতির পথে যুক্তি ভারী।।
আনুষ্ঠানিক ধর্ম করে
গোপন পথে অস্ত্র ধরে
অবাস্তবে যাচ্ছি লড়ে,
লোক দেখিয়ে শাস্ত্র পড়ি ।।
প্রতীক সম অস্ত্র ধরে।
বিজ্ঞান মতে বিশ্বাস করে।।
মানসিকতা রাখতে ভালো,
জ্বালাতে হবে জ্ঞানের আলো,
দুর করতে সকল কালো,
চলতে হবে সঙ্গ ধরি।।
বোকার মতন থাকব না।
অসৎ বাক্য মানব না।।
জ্ঞান বিচার করতে হবে,
সংগ্রাম করে বাঁচতে ভবে,
কারোর পিছে কেউনা রবে,
বাস্তবতা বিশ্বাস করি।।
বিধির কোন বিধান নাই।
আপন গুনে শান্তি পাই।।
প্রতীক সম নীরব নয়,
কর্ম গুনে করব জয়,
চলতে সদা বিশ্বময়,
প্রতীক নাহি তুলবে ধরি।।