যায়রে বেলা যায়, ঐ যে দূরের গাঁয় তাপস সূর্যি রাঙা মেঘের ছায়।
মাঠের মায়া ছাড়ছে রাখাল
আলের পথে চলছে গরু তায়।
আসছে ভেসে আজান ধ্বনি সুরের মূর্চ্ছণায়
ঘন্টা বাজে শঙ্খ বাজে পূজার অর্চনায়।
এক বৃন্তের ফুল কলিরা লইছে ভিন্নতা,
এক প্রভুরই মহাবিশ্ব চন্দ্র সূর্য গ্রহ তাঁরা অশেষ মমতায়।
কি অপরূপ কলাকৌশল ভাবায় কবির ভাবনায়
চোখ জুড়ানো মনমাতানো বৈচিত্র্যতা শ্যামল মৃত্তিকায়।
চোখের আলোয় হেরি ভোরের কোমল আভা,
তপ্ত রোদের তাপস সূর্যি কল্যাণেতে বায়।
সুনীল আকাশ সাগর জলে ভাসছে অসীমতায়
বহিছে পূরবীরাগ আশা জাগানিয়া উঠে ফোটে বনে।
ভাঙনের খেলা ঘুচায়ে আবার নব পল্লব জাগে,
উচ্ছ্বাস কেমন লতায় লতায় রঙ বাহারী মনে।
অবাক করা দিগ দিগন্ত মায়ায় মায়ায় সাজে
আমার হিয়ার সুপ্ত বাণী উচ্চারণে জাগে।
এমন রূপের মোহনজালে বাঁধলো আপনারে,
নেশায় মেতে রইছি ধরে ললিত বাণীর বাগে।