কালের অমানিশা লেগেছে যখন ঘায়
কি করে বলবো জীবন বড্ড বিতৃষ্ণায়?
ঘনঘটা আঁধার ঝেঁকে বসেছে জীবন
কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘ সাথে কুহেলিকাও
বড্ড পর হয়ে গেছে তারা যে এখন।
স্বপ্নের মই বেয়ে যতই ছুঁই আসমান মন
ভেঙ্গে চুর চুর করে দেয় বীভৎস সাইক্লোন।
অজানা বিরহের ঝাপটা বৃষ্টি ঝড় ঝঞ্ঝায়
আঁখি ঝরে জল,শুভ্র ভোরের শিশির ঝরা কান্নায় ।
আপন করে আর ডাকেনা কেউ আমায়
অগ্নি ঝরা ক্লান্তির আগমনী ফাগুন হাওয়ায়।
পরন্ত বেলার ফুর ফুরে পরশ বিকাল
দৈবাৎ ভৎর্সনায় ছিটকে পরি অনাদিকাল।
ঝিমিয়ে গেছে রঙ্গিন স্বপ্নচ্ছটা চঞ্চল মন
কেবল অথর্ব পাথরের মত পাদুকা চরণ।
আশার স্বপ্নগুলো কেন ধূলো বালিতে ছাই
দলছোটা পাখিদের মত হারিয়েছে কূল
বোধহয় কালের আবর্তনে পথের সন্ধানে তাই।
সূর্য,চন্দ্র গ্রহণ ধরণীর নিত্য সমীকরণে ধায়
কালের অমানিশা কুৎসিত মুখোসচারিতায়
পূর্নিমার আলো জ্বলসে অমাবস্যায়।
অদ্ভুত জীবন হতাশার গ্লানি সঙ্কট মূর্চ্ছনায়
কি করে বলবো প্রশ্নবোধক জীবন বিতৃষ্ণায়?