ধরিত্রী যেন কুসুম কানন
প্রাণ হলো সব পুষ্প,
তুমি ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের লাঙ্গল
আমি মালির স্পর্শ।

তুমি শোষিতের পৃষ্ঠ চাবুক
আমি তার প্রিয় বস্ত্র,
তুমি বর্গিবেশে আত্মভাবুক
আমি নিরস্ত্রের অস্ত্র।

তুমি বেদনা কাব্যে অশ্রু ঝরাও
আমি রম্য কাব্যের কবি,
তুমি গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ
আমি সন্ধ্যাবেলার রবি।

তুমি ইশান-বায়ুতে অগ্নি জ্বালাও
ঝড় হয়ে আমি ঝরবো,
তুমি অগ্নি-নৈঋত দাঙ্গা বাঁধাও
আমি শান্তির পাল তুলবো।

তুমি নমরুদের অগ্নিকুণ্ড
আমি ইব্রাহিমের ইমান,
তুমি মিথ্যার মহাকাব্যিক
আমি সত্য অনির্বাণ।

তুমি সর্প হয়ে দংশনকারী
আমি হব কবিরাজ,
তুমি রাবণ রুপে ভয় দেখালে
সাজবো রামের সাজ।

তুমি অত্যাচারির কালো থাবা
আমি মেহেদি রাঙা হাত,
তুমি ক্ষুধার্তের আত্মচিৎকার
আমি দুধ মাখানো ভাত।

তুমি সিংহের প্রলয় গর্জন
আমি কোকিলের সুর,
তুমি নিম ফলের তেতো
আমি মিষ্টতা মধুর।

তুমি অপ্রাপ্তির দীর্ঘ শ্বাস
আমি উল্লাস প্রাপ্তির,
তুমি অশান্তির খলনায়ক
আমি নায়ক শান্তির।