জীবনটা সিনেমার ফিতা
একটার পর একটা ঘটনা
জীবনের গায়ে জীবন
ট্রেনের চাকার মত
যন্ত্রনাকাতর প্রবাহ।

কতটুকু রং লাগাতে পারি?
পূর্বেই নির্ধারিত ভাগ্যের মত
নিরঙ্কুশ লাগানো থাকে
এক একটি না পছন্দ করা রং
জীবনের বিবর্ণ পাতায়।
নিজেকে কতটুকু সঁপে দিতে পারি
একান্ত নিরিবিলি আবাসে?
যেখানে বাতাসে কান পেতেছে
অসংখ্য কানের অতল গহবর,
সমুদ্র জলে আছে বড় বড়
দেতেল মাছ, নগরায়ন,
শিল্পায়নের নামে জল, স্থল,আকাশ,
সমাজ, পুঁজির প্রবল পৈশাচিকতায়
দূষিত সকল কিছু।
কতটুকু স্বপ্ন দেখার সাধে
জীবনকে সান্ত্বনা দিতে পারা যায়?
তপ্ত মরুভূমির দ্রুত ধাবমান অশ্বের মত
মৃত্যু যখন এসে দাঁড়ায়
প্রিয় শরীরের কাছে
তখনও মনে হয়ে স্বপ্নের আবেশে
প্রিয় নারীর কানের দুলের মত
সোনালী ধানের দোলায় আরেকটু বাঁচি।

তারপরও...
স্বপ্ন দেখার অধিকার
আমাদের নেই আর,
আমার স্বপ্ন দেখে অন্যজন
চারিদিকের কালো পোশাকে
অতিমানবীয় আত্মার
স্বপ্ন চুরির আয়োজন।
মৃত্যুর চিঠিতেও পড়বে না
আর কোন রঙের ছাপ
পড়বে না আর কারো স্বপ্নের শীষ।
জীবন এভাবেই চলল
যেন এক লাশ, বেওয়ারিশ।
------------------------

                                       এপ্রিল ১৪, ২০১৪
                                  বিভাগ, এমএম কলেজ, যশোর।