যা হোক, মার্চে দেখা হবেই
এটা ওটা, এ পর্ব, সে অনুষ্ঠানে
নিজেকে সঁপে দিতে দিতে,
ঠোঁটের কোনায় ঝুল বারান্দার মত
টানা হাসির শ্বাপদ নির্জনতায়
একেবারে ক্লান্ত আমি।
দিনগুলো চলে গেছে
রাতের আধারে পাশ কাটানো
মিশকালো দ্রুতগামী অশ্বের মতো,
ওর পৃষ্ঠে জমানো সব স্বপ্ন
লুপ্ত হয়েছে ক্রমশ মিলিয়ে যাওয়া
হ্রেষা রবের চি হি হি জরায়ুতে,
জীবন পায়নি কিছুই
কেবল ছন্নছাড়া দিন এবং রাত
যেন পড়ে আছে প্রেমিকের কাছে লেখা
চিঠির অসংখ্য টুকরো মেঝেময়,
অভিসারগুলো মাথা কুটে কুটে জন্ম দেয়
একেকটি জন্মান্ধ সময়,
এখানে জীবন কিছুই পায়নি
এখানে জীবন কিছুই পেলো না।
কেবল বয়ে গেছি
জীবন যেমন করে বয়ে নেয়
আজন্ম ঘাতক মৃত্যুকে।
নদীর অদম্য অক্লান্ত বহতা
দু'পাড় মৃত্তিকার কণা ঘেষে
যেমন বয়ে যায়, আমিও তেমনি,
কিন্তু ভাঙতে পারিনি পাড়
নিতে পারিনি মৃত্তিকণা
বুকের ভেতর যতন করে
কোথাও চর জাগাবো বলে,
কোথাও ফসল ফলাবো বলে।
অসংখ্য শালিক, মাছরাঙা, গাঙচিল,
বালি হাঁস ডানা মেলে কেবল উড়েছে
জলরাশির উপর খন্ড আকাশটায়,
তবুও উড়াল রেখার বৃত্তায়নে
দিতে পারিনি কোন চর
দিতে পারিনি শান্তির আকর,
ক্লান্তির অবসন্নতায়
দিতে পারিনি আশ্রয়
এই নিষ্কর্মা সময়ের শূন্য আমি।
কিছুই পারিনি,পারি না কিছুই।
কতবার নিজের ভূতগুলোকে
রাতের নিরেট কালো পোশাকে
মিশিয়ে প্রার্থনায় কাতরে বলেছি
হে গ্রীষ্ম উত্তাপ দাও
হে উত্তাপ প্রেম দাও
হে বর্ষা জলোচ্ছ্বাস দাও
হে জলোচ্ছ্বাস পলি দাও
হে শরৎ আকাশ দাও
হে আকাশ পঁইছি দাও
হে হেমন্ত উৎসব দাও
হে উৎসব প্রিয়া দাও
হে শীত পৌষ দাও
হে পৌষ শিশির ওষ্ঠ দাও
হে বসন্ত রঙ দাও
হে রঙ রাগ দাও।
জলোচ্ছ্বাসের পলিতে জন্ম নেবে
আমার প্রত্নতাত্বিক উত্তাপিত প্রেম
আকাশের গয়নায় উৎসবের মত
ঘুমিয়ে পড়া নত বিকলাঙ্গ মধ্যরাত যত
পার হবে অলৌকিক অরণ্য কুয়াশা
চুম্বনে চুম্বনে লোবান ওষ্ঠ রঙে রাগে,
বছর থেকে শতাব্দীতে বাজবে কেবল
রণঘন বনে লোরসিক্ত পরিসরে অকাতরে
আমার সে জীবন, আমার সে মৃত্যু
অত:পর
হে জীবন মৃত্যু দাও
হে মৃত্যু জীবন দাও।