কবিতার পায়ে মল পরিয়ে
লাল আলতা মাখিয়ে
পায়ের তলে প্রেমিক বিমুগ্ধ সুরে
কত শত ঘণ্টার রজনী
করেছি পার
প্রিয় যশোরকে সাজাবো বলে
আর্তস্বরে অনুনাদ করেছি
প্রসব যন্ত্রণায়,
ফিরিয়ে দাও আমার বাণী,
ফিরিয়ে দাও আমার শব্দ,
ফিরিয়ে নাও তোমার কাঁটা।
তুমি নির্বিকার,
বাণী, শব্দহীন এই আমি
নিকষ কালো অন্ধকারের অনুগামী
যেন ছায়াহীন এক অস্তিত্ব রাতময়
ঘুরে বেড়াই যশোরের অলি-গলি।
দড়াটানার ব্রিজের নিচ দিয়ে
মরে পড়ে থাকা বুড়ি ভৈরব
তোমাকে ভাবায় না,
নীরবতাই তোমার মৃত্যু
যার অপর পৃষ্ঠে আমার কান্না
মিশে আছে রাত জাগা কুকুরের মত ৷
শান্তিতলার পাগল এখন
তোমার শীতলতায় হাসে
এম এম কলেজের সবুজ মাঠ
নব বধূর শাড়ির আঁচলের মত জড়ায় পুরোটা যশোর,
তারুণ্যের অরণ্যে জমানো আসর
পুষ্পিত করে না আর তোমায়,
শ্রীধামের লাল পদ্মগুলোয়
আর চলে না তোমার পূজো ৷
কারণ তুমি বাণীহীন, নির্লজ্জ ৷