চড়ুই পাখির চঞ্চলতায়
চিন্তাগুলো ভেসে যায়
রাত ঘুমিয়ে আছে হিম জলকণার গভীরতায়
নিরজন একাকী আমি স্টেশনে
ফিরে যাবার অপেক্ষায়।
ম্রিয়মাণ আলোয় দাঁড়িয়ে
তাকিয়ে আছি সম্মুখের অন্ধকারে
শেয়ালের ধূর্ত ফস্ফরাসিয় চোখ
সরে গিয়ে কোথাও উধাও ।
দুরের কোন এক গাছের
কুহকের আর্তচিৎকার
আমাকে আরও শূন্য করে দেয় ,
আমি ডুবে যাই অন্ধকারের গাঢ়তায় ।
ব্যাগ হাতে অদূরে এক ছায়া মানুষ
স্থির বৃক্ষবত দাঁড়িয়ে একাকী
শীতাদ্র রাত থেমে আছে ওর পায়ের তলায়
পশ্চাতে লোমহীন দগ্ধ কুকুর
নিঃশ্বাস ফেলে স্টেশনময় ,
লোকটির অস্থির চাহনি ল্যাপ্টাতে থাকে
গুটিসুটি শুয়ে থাকা অবিন্যস্ত যুবতীকে,
হিম স্তব্ধ মধ্যরাত যেন পুঁজিবাদের আকণ্ঠ কামনা ।
সস্তিহীন নিরবতা বিদীর্ণ করে
অন্ধকারের বুক চিরে
ক্রন্দনে ক্রন্দনে ধাতব চাকায়
বেরিয়ে এল ভ্রমনক্লান্ত ট্রেন ।
অস্থির স্টেশনের অবোধ ভাষায়
রঙহীন স্বপ্ন তাড়িত আমি
ট্রেনের দেহ-গহবরে আবিষ্ট ,
ফিরছি আপন ঠিকানায় ,
সত্যিই কি ফিরছি আমি ?