#কাব্যগ্রন্থ_নীলার_সাথে_আত্মকথন
#শাওন_মল্লিক
ব্যালকনিতে একটা দোলনা লাগিয়েছি বেশ কয়েকদিন হলো।বরাবর এর মতো প্রতিরাতে দোলনায় বসা হয়..ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি বলবে অনেকে।তবে বলাবাহুল্য নীলার খুব পছন্দের একটি জিনিস ছিলো এই দোলনা।রাত তখন কটা বাজে ঠিক মনে নেই।ঘড়ি দেখা হয় না অনেক দিন রাতে আমি বরাবর এর মতো বসে সিগারেটের প্যাকেট পাশে রেখে সিগারেটে কয়েকটা টান দিচ্ছিলাম।অনেকে একে ইন্দ্রিয় তৃপ্তি বলে আখ্যায়িত করে। থাক ব্যাপার না!ওসব ওদের চিন্তাভাবনা।সবাই তো আর একভাবে ভাবতে পারে না।তখন আমি মোটামুটি রাতের নেশায় মত্ত।প্রতিরাতের ন্যায় আজকেও পাশে একটা ছায়ামূর্তি এসে বসলো।আমার পাশে বসে আমার অভিযোগ শুনছে। আমায় বারম্বার একই কথা বলে,সিগারেট টা তুমি আর ছাড়তে পারলে না!আমিও মুখে আলতো হাসি নিয়ে বললাম,তুমি আজো এসেছো?নীলার হাসি খানা মুখটার দিকে চেয়ে রইলাম কিছুক্ষন সে বললো,তোমার কাছে আমি না এসে পারি?ও আচ্ছা ভালো কথা ইতিমধ্যে আশেপাশের মানুষের কাছে আমি পাগল নামে খ্যাতি পেয়ে গেছি।কত ডাক্তার, কত ওষুধপত্র ওসব আমি খাই না।নীলা বলে উঠলো তুমি ঠিকমতো ওষুধ খাও না কেনো?আমি বললাম, ওষুধ খেলে তুমি যে আর আমার ধারেকাছেও আসবে না।বলছিলাম নীলা তোমার কোলে কি একটু মাথাটা রাখবো?নীলা বললো ওমা এতে আবার অনুমতি নেয়ার কি আছে? প্রতিরাতেই তো রাখো!তোমার আদিখ্যেতা দেখে বাঁচি না বাপু!নীলা বললো পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনতে পাচ্ছো মেঘ?আমি বললাম এইবার তুমি চলে যাবে বুঝি?আবার কবে আসবে নীলা?নীলা বললো আগামীকাল রাতে ঠিক রাতটা যখন খুব গভীর তখন আর যখন তুমি আমার নেশায় মত্ত তখন। তুমি একটু ঘুমিয়ে নাও মেঘ।.দিনদিন তোমার শরীর টা বড্ড বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে।আমি বললাম নীলা আর কিছুটা সময় থেকে গেলে হয় না?নীলা বললো,তুমি তো জানো মেঘ তোমার অন্ধকারেই আমার অস্তিত্ব!আলোতে তোমার আর আমার কারোরই অস্তিত্ব নেই।