তুমি দাঁড়িয়ে আছ – ডানে অশ্বত্থ আর বাঁয়ে ফাঁসিকাঠ
ওরা কথা বলে গভীর দুপুরে—
ফেনায় ফেনায় পায়ের শিকল বালুচরে---
কতটা চাবুক খেলে রক্ত ওঠে নির্ম্মতার কষে
জমাদারের জেলখানা পরিষ্কার----------
বীর সাভারকার--------তিনটি গলার দড়ি
তোমাকে আজও উপেক্ষা করে-------ইংরেজ শাসক।
আন্দামান তোমার নীলাভ সবুজ ভেসে যাওয়া
প্রবাল-ঝিনুক আর বেঁচে থাকা শংখেরা
তোমরা বিষ ঢেলেছ অসতর্ক চরণে?
তোমার বেড়ীর ঝনাৎ ঝনাৎ প্রেত হয়ে বাতাসে ভাসে----কান্না-ঘাম দেওয়ালে ঘা মারে
বহু বহু বছর আগে আমি কী ছিলাম-------
কষ্ট দলা পাকিয়ে ফেলেছি কি তেলের বাটিতে
ভীষণ রোদে অথবা অন্ধকার কারাকক্ষে আমিও কি কৃষ্ণনাম আওড়েছি-----
অন্ধকূপ তুমি তো মাতা ধরিত্রী----
এই আমার মুক্ত আকাশ------দর্শক হয়ে বসে থাকা----
হে আমার পূর্বপুরুষগণ
তোমাদের প্রেত-হাত আশীর্বাদ করে গেছে-----
সে হাতগুলিতে অস্থিসার---
সেই পীঠ চাবুকে রক্তচান---
সেই পা লোহার বালায় কড়া পড়ে আছে----
সে চোখ ফাঁসিকাঠ ভুলে গিয়ে অনন্ত দৃষ্টি মেলে আছে----
যেখানে জাতীয় পতাকা ওড়ে-----
শীত শীত শিরশির গায়ে আদর বুলিয়ে যায়
তোরা বেঁচে থাক সহস্র বছর---অত্যচারী নির্বাসিত পুড়ে খাক লোল চর্ম
আমি জেগে আছি---বাইরে প্রশান্ত সমুদ্র
আমার দরজায় আজ অণির্বাণ শিখা----
আমার জরাগ্রস্ত চরণে জড়িয়ে দিলে গোলাপের মালা--------