তাকে কেউ দেখেছো শিমূল কুঁড়ির পাশে?
ঝরাপাতা, নর্মদা অথবা পৃথিবীর কোন উপকূলে।
বিস্তীর্ণ জীবনের পথ, কত পা হেঁটে যায় কে জানে!
দু’চোখ খেলে য়ায় নালন্দা-রাজগীরের পুরনো কঙ্কালে,
অথবা,
প্রাচীন-তরুণ সব সশব্দ শহরে।
দৃষ্টির রঙীন ক্যানভাসে, চোখজ্বলা রঙেদের মেলে,
সেই মেয়ে মুখ লুকোয়, পৌষের বিবর্ণ পাতার ভাঁজে।
সযত্নে গোপনে তাকে রেখে গেছে কবি তাঁর কবিতার বাঁকে।
এইসব কল্পকথা,
কেউ বলে মখমল-চাদরে ঢাকা নিষ্প্রাণ শব্দের ভীড়।
কেউ কেউ বলে যায়,
কাগুজে বন্ধুগুলো নিয়ে গেছে তাকে কোন দিক্‌বিভ্রমে।
বিষাক্ত কোন মুখ, বাবা-মার বিলাপের করে অপলাপ।
শূন্যগর্ভ মায়ের হৃদয়ে ভাষা কে যাবে পড়ে দিয়ে?
সেদিন,
কবিতার জলসায়, দেখেছিলাম মাথায় নিয়ে সচিত্র আকাশ,
গোলাপি ঠোঁটের হাসি ঝরিয়ে, ছড়িয়ে ছিল নিঃশব্দ অভিমান,
জমে যাওয়া কালো কালো মেঘ থোপা হয়ে সেজেছিল সযত্নে কাঁধ।
সে রাতের সুর-মেলা,কালো হয়ে গেছে আজ অসুরের খেলা,
অবুঝ যৌবন নিয়ে, হয়ত সে বেঁধেছে অসুখের সংসার আরব সাগর উপকূলে।

তবুও তো শেষ রাতে, বন্ধ চোখে দেখি তাকে,
দেহেতে সবুজ শাড়ী, দুচোখে সাগর।