প্রিয় জয়িতা ইসলাম জয়িতা
আমার হৃদয়ের সাথে তুমি
যে প্রতিযোগীতা করেছিলে
তুমি কিন্তু সেখানে জিততে পারলে না
হেরে গেলে জয়ের ঠিক শেষ প্রান্তে এসে।
রাগ করো না, আমি একবিন্দু মিথ্যে বলছি না
তোমার পরাজয়ে আমিও আহত, সমান সমব্যথী।
আমি বলছি না, আমিই বা জিততে পেরেছি
তবে জোর গলায় বলতে পারি
আজও থেকে গেছি
তোমার ভেতর কোথাও কোথাও।
যে দুহাত দিয়ে তুমি মুখ ঢাকো
ভয়, আনন্দে কিংবা লজ্জায়
ওই দু হাতে আমার স্পর্শ মাখা
তুমি ভুলতে পারোনি, আমি জানি
তাই, আমি আজও বেচে আছি তোমার ভিতর।
শরৎ রচনাবলীর প্রতিটি পৃষ্ঠায়
কিংবা কুয়াশা ঢাকা পৌষের সকাল বেলায়
বিকেলে কড়া লিকার চায়ের কাপে
ঘোরে থাকা তীব্র জ্বরের তাপে
আজও ভুলতে পারলে না আমাকে।
বিজয় দিবসে টি.এস.সি কিংবা কার্জন
পথ ভুলে গিয়ে ওঠা সোহরাওয়ার্দীর প্রাঙ্গন
কোন কোন দিন ফুলার রোডে,
গাঢ় লিপস্টিকের উষ্ঞ ঠোটে
কোন গ্লিসারিন পারবে ওঠাতে আমায় ?
যখন বিকেল গড়িয়ে টুপ করে ডুব দেয় সূর্যটা
চারিদিকে নিস্তব্ধতা, বুক ঘন করা অন্ধকারে
একবারের জন্যেও ভাবো না আমায়?
আমি বিশ্বাস করি না জয়িতা
তুমি মনে করতে বাধ্য
কষ্ট পেয়ো না জয়িতা
এই বোধহয় তোমার আমার
জীবনের ভাগ্য।