কাজরী, তুমি তো জানতে........
আমাকে চুরির অভিযোগে বেঁধে রাখা হয়েছে
তোমার বাড়ির আমগাছ টায় শক্তভাবে।
নাদান শিশুরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছে আমাকে;
চোর দেখার মাঝে নাকি
পৈশাচিক একটা আনন্দ আছে।
কাজরী, খোদার আইন বলবৎ থাকলে
হয়তো কেটে ফেলা হতো আমার কাব্যিক হাত দুটি
আমি আঙুল দিয়ে তোমার রক্তিম গাল গুলো
স্পর্শ করতে পারতাম না;
চোখ দিয়ে শুধু তাকিয়ে থাকতে হতো।
অথচ বিশ্বাস করো কাজরী
আমি এসেছিলাম......তোমার?
কাজরী, আমাকে সালিশে উঠানো হবে
সোবহান মড়লের সালিশ।
সালিশে যদি আমাকে শাস্তি দেওয়া হয়
তুমি কি আমাকে বাচাতে আসবে কাজরী
নাকি পাষাণের মতো বলবে
" আমি চিনি না এই ছেলেকে"।
কাজরী, যেই চোখে চোখ রেখে একদিন বলেছিলে
'দুই বনের দুই পথহারা হরিণের সাক্ষাৎ হলো আজ'
তুমি সুন্দরবন, আমি হলাম আমাজন।
এই বলে হেসে দিয়েছিলে উচ্চকণ্ঠে
আমি নির্বাক তাকিয়ে দেখছিলাম।
আমাদের চার চোখ মিলে চার নয়;
দুই চোখ হলো আজ!
কাজরী, আমাকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হলো
তুমি চেয়ে চেয়ে দেখলে.....
নাদান শিশুদের দলের সাথে দাড়িয়ে।
উম্মতে মোহাম্মদী যেভাবে নিষ্পলক তাকিয়ে দেখে
ফিলিস্তিনের আগ্রাসন।
কাজরী তুমি..........?