বেদনার সমুদ্রে পানতুয়া ভাসে
শির উচিয়ে '"আছি আমি"; এই বলে।
আফগানি আনার রোজ ফেটে যায় রোদেলা দুপুরে
কোন প্রতিবাদে, কোন ভাষার ছলে।।
জোছনার রাতে নাফিসা হলের ব্যালকনিতে
অভিমানী মৌন কিশোরীর সারল্য ।
প্রিয়তমেসু, তোমার নহর কিসের অভিপ্রায়
কিবা কোন ভাষায় রচিয়াছ এ অশ্রুমাল্য।
তোমার বাবার বাতের ব্যথা
আপন মুখশ্রীতে ঢেকে যায় তোমা চিকুরের আড়ালে।
পাহাড়ি দাদা জানের শ্বাসের দীর্ঘশ্বাস
নির্বাক প্রস্থানে গিলগামেশকে বুঝিয়ে দেয়
সহস্র বেদনার ভাষা।
তবুও কোথাও যেন আছে আশ,
সবর করো মেহমেত; হন্যতে নাশ
সীমারের পাষাণ হৃদয়ের নিকট মুখোমুখি
হোসাইনের রক্তিম মুখ; অব্যক্ত ভাষা
যেন সমস্ত মুহিব্বির শিশিরে ঝরে পড়া শিউলি।
অভিমানী আয়েশার পাঁজরে মাথা রেখে
প্রিয়তম সিরাজাম মুনিরার চলে যাওয়া।
হে আবু বাকার! তোমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু!
হাবসি বিলাল, ইয়াসরিব ছেড়ে
কোন অভিমানে কোথায় চলে গেলে
বিনয়ী ছোট্ট আনাস, উমারের ছন্নছাড়া মহব্বত
আজ শোকের শহর
কবিরা পাখিরা,মরুর সাইমুম আজ হঠাৎ স্তব্ধ নহর।
বলো সাফুয়ান, এ নিরব প্রস্থান; এ অগস্ত্য যাত্রা
কোন বেদনার ভাষা দিয়ে
তুমি মিটাবে ; লিপিবদ্ধ করবে?