খোশ আমদোদ! এলার্ন হোক পুরো জামিয়ায়
এই অগ্রহায়নে সাক্ষাৎে আসিয়াছে আমার আম্মায়।
দেখিবামাত্রই দ্রুত বেগে বক্ষে তুলিয়া চায়
আয় পুত্র মোর বুকে, কতদিন তোকে দেখিনা হায়।।
গোশত মাখানো চালের রুটির লোকমা দিলে মুখে
বহুদিন পর পুত্র তাহার মায়ের হাতে খেল
আহ! কতই না মহা সুখে।।
পুত্র তাহার হাসৌজ্জল মুখে লুকায় সকল ব্যাথা
চোখেমুখে নিঃস্বের ছাপ,
কুঁড়িতে কে জহর মেশায় কেহ জানলোনা সেথা।
গোধূলির কিরণে ঢেকে যায় পুত্রের আবছা মুখ
কালো কাফতানের আড়ালে অশ্রুসিক্ত মায়ের বুক
অভিমান মুখে জড়িয়ে ধরে সুপারি গাছের বুক
মায়েরে আল্লাহ্ দেইখা রাইখ্যো, অসুখে দিও সুখ।
সবাই ফিরছে খোদার ঘরে মোয়াজ্জিনের সুরে
মাগরিবের ওই আযান যেন
তার মায়েরে নিচ্ছে আরো দূরে।।
মায়ের খবর দিও কেউ, কখনো দেখা পেলে
নিতে পারিনা তার খোজ
আমি হলাম হেফজ খানার ছেলে।।