হে সিন্ধের বালক!  
উর্বর মৃত্তিকা ছেড়ে কেনো ধূলোর শহরে এসেছো
    সহস্র ক্রোশ পথ পাড়ি দিয়ে কিসের অভিপ্রায়
   তুমি পেরেশান হয়ে খুঁজছো কোন মুহিব্বিকে।।

      
       কার জন‍‍্য সুরমা দিলে আয়ত দুচোখে
   কার জন‍‍্য বে হিসেব অশ্রু ঝড়ালে ফুলেল বসন্তে
            প্রেয়সীও যে দূরবর্তী প্রতিবেশী
  চব্বিশের মদিনাতে কি প্রেমাস্পদ কেউ নেই আর?

  কি উদ্দেশ্যে দিশেহারা দৌড়াচ্ছো মজনুর মতো
                  এই মদিনার অলিগলি ।।।
                        
  কস্তুরির খুশবু ভরা মজলিস মদিনায় আর ত হয়না
          কারো প্রস্থানে কাবার পথে হায় আর
          মেশকের ঘ্রাণ যে পাওয়া যায় না।।
          
      বেদুইন মেষের রাখাল কি  বিষণ্ণতা  নিয়ে
            মাগরিবে আর বাড়ি ফেরে না?

     কার শূন্যতায় মরুর সমস্ত ঐশ্বর্য ধুলোয় মিশে
   এমন বাষ্প রূপ খোদার আসমানে  পৌছে গেল?

               বদরের শিখর চূড়ায় উঠে
প্রেমময় জেরুজালেম শহর আমি আর যে দেখিনা
   কোন ভিনদেশি কুয়াশায় ঢেকে গেছে এমন;
                     হে সাফুয়ান!
      নাকি দুরত্ব বেড়ে গেছে চোখের সাথে মনের।।

  অভিমানী জোছনা হয়ে আর কত প্রহর কাটাবে
                   হে সাফুয়ান!
    
উত্তাল সমুদ্রে তুমি নিমজ্জিত পানতুয়া ন‍‍্যায়
হায়!তোমার পিতা কি তোমাকে সাতারও শিখায়নি!

  নেই সে কোথাও, শহরের কোনো প্রান্তে নেই হায়
  যাযাবর আমি  এ শহর  ছেড়ে যাবই বা কোথায়!

                 হে মদিনার  মালি!!
      কোথাও এক টুকরো কি জায়গাও হবেনা?
     আমি নতজানু হয়ে ফুটে যেতে চাই
কুয়াশামাখানো গোলাব হয়ে রাসূলেরি গুলবাগিচায়।
  
  যদিও  এতো এতো সুবাসিত  ফুল দলের মাঝে
আমার বাস তাকে স্পর্শ করবে কিনা জানিনা।।