হিফজখানার গোলাব!
নতজানু হয়ে ফুটে থাকো ভোরের কুয়াশায়।
তোমারি মৃদু খুশবুতে ইয়াতিম শিশুরা
দেখো সদা হর্ষ পুলক পায়।।
বড় হুজুর ঘুমায়েছে ঘোর
আছে নাসিক্য রবে বিভোর।।
রাত্রির শেষ প্রহরে
মৃদু স্বরে ওই কোন বালক যেন পড়িছে দেখো
কোরআনের ধ্বনি।
মধুপায়ী অলি ভুলে যায় গোলাবের কথা
কান পাতিয়া শুনে রোজ ওই ঐশী বাণী।
অভিমানে গোলাব ঝরে পড়বে বুঝি হায়
বিলালের আজান শুনে ক্ষণিকের মন হুশ ফিরে পায়।
তবু যেন অপেক্ষা প্রহরে প্রহরে রজনী ফুরায়ে হায়
অলি গুঞ্জরিয়া বেহুশ খোদার আসমানে চলে যায়।
বিরহ অনলে প্রেমময়ী ;
অনুরাগীর আর নাহি দেখা পায়।
দুনিয়ার গোলাব শুকিয়ে যায় শরা বান তহুরায়।।