দরজায় ঠকঠক, সজোরে করাঘাত
        কে যেন  উঠিয়াছে ভাঙিবার লাগিয়া

        চাক্ষুসে পিতৃবকে দর্শন করিবামাত্র
     আচমকা নিদ্রিত সভাকবি উঠিল জাগিয়া।।

              হালের বলদ গৃহে ফেলিয়া
    শুধু করিলে নারীকূলের চক্ষুযুগলের উপমা

   ওহে নরাধম, বীর সালাদিন একথা শুনিয়াছে যদি
তোমারে দিবেন ধিক শত লজ্জা; নাহি তার  ক্ষমা।।


    পুজিঁপতির দাস হইয়া ধূলিসাৎ করিয়াছ সবি
         দুঃখিনী মাতা থাকে কত প্রহর উপবাস
    তার খেয়াল কি রাখিয়াছ/ বিরহ রসিক কবি!


     যে বিরহ সুধা  কাব‍্য প্রেমিকের নিত‍্য আহার্য
    উদরপূর্তিতে নিদ্রাহীন রাত্রীযাপন হইত ধার্য
        
         এখনি সন্তান মোর তাহারে দাও বলি
        আগে অন্ন  সমস‍‍্যার হোক সমাধান
          তারপর  হবে প্রেমো  বিরহ বন্দনা
ফেলে দিয়ে সরলা সোমেশ্বরীতে করো জলাঞ্জলি

ক্ষুধার্ত বসুধায় স্ত্রৈণতার বদলে তুল দ্রোহের ধ্বনি
পালনীয়া যেবা ভ্রমহীন সম তুমি উপাধিবে দেখো
              জগতের  শিরোকূলমণি।।