সমস্ত বৈষম্যের কাছে নতজানু হয়ে
যে বেদুইন ভেবেছিল
প্রিয়তমা! পূনর্জন্মে আমি নীল তিমি হবো দেখো।
পৃথিবীর সমস্ত ক্ষত সাড়াবো দুজনে নির্জন সমুদ্রে।
সংকোচের প্রাচীর নব শক্তির কাছে হতো পরাজিত।
বক্ষ বিদীর্ণ করে হৃদমাঝে সপে দিতো আপনারে
সুধালো সমস্ত অহমিকা,অশোভন যেতো নিপাত সীমারের হৃদয়ে একি সেহের করেছ ইয়ারগুনাত।।
অথচ খোদার কেতাব তন্ন তন্ন করে দেখি
প্রিয়তমা! পূণর্জন্ম বলে কিছুই যে নেই।।
এ তারুণ্যের চঞ্চলতা, তোমাকে দেখার ব্যাকুলতা দেখো!হাশরের কলোসিয়ামে পরাজিত হয়ে যাবে।।
তৃষ্ণার্ত জনসমুদ্রে ভুলক্রমে যদি দেখা হয়ে যায়
তোমার কাজলীয়া চোখ দেখে
আমার হৃদয় একটিবারের জন্যেও কম্পিত হবেনা।।
কি বিভীষিকাময়, ভেবে ভেবে ব্যাথা পাই সদা
মমতাময়ী মাতা পাষাণের মতো চলে যাবে
দেখে আমারি এ করুন অবস্থা ।।
এ জন্মে আমার সমস্ত সঞ্চিত প্রেম
তোমার কাছে সপে দিয়ে দেখি
অভিমান করে বসে আছে স্বয়ং ঈশ্বর।
অথচ দেখো, রাত্রির শেষ প্রহরে
তার অভিমানী পর্দা তুলে
নেমে এসেছে আমার মহব্বতের লাগি।।
আমারে সহ সায় সে দোজখে লেলিতে চায় না।।
পরের জন্মে দেখা পাবো এই মিথ্যে আশ্বাস টুকু
ক্ষুধার্ত বেদুইনকে আর দিও না।।
তার চেয়ে বরং এজন্মের সখা হও সর্বশেষ!
যে মতি তিমিরের ঠাণ্ডা পবনে
আমার সমস্ত অভিমান নিয়ে চলে যায়
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ।।।