ব্রহ্মপুত্রের পারে অভিমানী কিশোরী
        গৃহত‍্যাগী বেশে আপন মনে চুল উড়ায়
  
  ওপারে দেখো ঐ যে কায়স্থের বধূর শবদেহ হায়।   ধূমাবতীর নৃত‍্যে মৃদঙ্গের ধ্বনি হরি-হরি পৌছায়।।।

           সবুজ ট্রেন জোছনা ভরা রাতে
আমার সমস্ত অভিমান নিয়ে কোথায় যে চলে যায়।।

           মায়ের সালাম ফেরানোর পূর্বেই
আমার কবিতার খাতাগুলো সহসায় পুড়ে যায়।
  মাগরিবের আজান শুনে মসজিদ অভিমুখে আমি
             ইমাম সেজদায় চলে যায়।।
                
শরাবের মাদকতা শেষ হতে হতে প্রেয়সী চলে যায়  
       কোন মায়াবলে বৃদ্ধ  অজগরের বুকে
       সফেদ খরগোশ আমৃত্যু ঘুমোতে চায়।।
        
           সবুজ ট্রেন জোছনা ভরা রাতে
আমার সমস্ত অভিমান নিয়ে কোথায় যে চলে যায়।।
                 চলে যেতে চায়!!

ক্ষুধার্তপাকস্থলীতে হঠাৎ ঘি,গোমাংস কেহ খায়  জোরজবরদস্তিতে নাহি স্বস্তি; বমনের উদ্রেক ঘটায়।

     মৃত লাশ অভিমুখে বন্দনা, শত আয়োজন
          বিমোহিত  গোলাপ আগরের ঘ্রাণ
তবুও দেবে নাকো সেই প্রিয় একটিবারও সায়!!
      
    
      জীবিত জীবনানন্দকে ইকটু ভালোবেসো
            ভেঙেচুড়ে কিংবা পরম যতনে
      মানুষ হিসেবে মানুষ এইটুকুই ত চায়।।।।।


            সবুজ ট্রেন জোছনা ভরা রাতে
আমার সমস্ত অভিমান নিয়ে কোথায় যে চলে যায়।।
                 চলে যেতে চায়!!