শ্রাবণের ভরা জোছনায় উচ্ছ্বসিত নয়া জল
    তৃষ্ণার্ত ছিল সে কবেকার এখন তো টলমল

    নিজ গৃহের বাহিরে তার নাই কোনো আলোড়ন
     সেই যে শেষ লুকাইয়াছে অভিমান মুখ নিয়ে
    দেখা নাহি মিলে তনুর ,নাহি পদধূলির চরণ।।

যে বক্ষ ভেদিয়া প্রবেশুনি তারে পাজরের ঐ হাড়ে
      মনে চায় শুধাবার তারে, যেন সম্মুখপানে        
  একটিবার আসে প্রিয়তমেষু, কংস, ধনুর পারে।।

    কত অমানিশা, তপ্ত দুপুর,কত মলয় বাতাস  
  ছুটিয়া চলে সেই সবুজট্রেন নিয়ে লুকানো দীর্ঘশ্বাস

  
  শোভিত চিরহরিৎ,মনপুরার বিকেল,স্বচ্ছ জলধারা,    
এতো বারি মাঝে ভ্রমে, খুঁজিতে খুঁজিতে অমৃতসুধা
             আমি একেবারে দিশেহারা।।
                  
     হায়!রূপসী সুসঙ্গ রাজ‍্যেও বসেনা মোর মন
          
           আয়রে সুহৃদ, গৃহ ছেড়ে আসি
               দুটি হৃদিসরোবরে ভাসি,
              তুই আর আমি লীন হয়ে যাই
       সাক্ষী থাকুক আখৈলখলার হিজলের বন।।

     গুণিব আর কত প্রহর, ভাঙিবে তোর মান
সময় হেরি পুষ্প গলে দিলে খুশি হয়কি কায়াজান।।

     ভরা বর্ষায় নাও ভাসাবো বিশাল হাওর মাঝে
      আমি বাহিব লগি ধরিয়া, তুই ধরিবি গান
            হায়  যতক্ষণ  আছে আয়ুষ্কাল।।
      
দ্বাদশীর শেষ প্রহরে যদি লয় হয়ে যেত মোদের
           চোখ বুজিতাম হাসিতে হাসিতে;
উপহার পেতাম ফজরের সালাম ফেরানো সকাল।।