সাতরঙা ধরণী করিতেছে ঝিকিমিক
তবুও হাসি খুশি আয়েশা,সাফুয়ান ছাড়ি
ছুটে যাই বোহেমিয়ান মদিনার গলির চারিদিক।
মিনারের চারিপাশে করি পায়চারি ভরামজলিস
টুপিবিহীন আলখাল্লা প্রবেশিনু নাই হুশ-দিশ। কারা যেন ঐকরিছে ছুটাছুটি ঠিক অস্পষ্ট ফিসফিস।
এ কোন সুবাসিত ঘ্রাণ, মেশক নাকি জাফরান
রুদ্দুর জুমার মিনারে বসে যষ্টি হাতে দণ্ডায়মান
কে সে পলকে এভাবে সম্মোহনী ইশারায়
মোহিত রেখেছে সকলি নির্ঘাত চাক্ষুষ ম্রিয়মান।।
পিতামহের স্কন্ধে উঠিয়াছে নবীন দুই দেহরক্ষী বাহুদিয়ে যেন আগলায়া রাখিছে এক হীরা মণ পক্ষী
আমি শুধু দেখি চমকিয়া যাই
আড়ালে চাহিয়া আবারো লুকিয়ে যাই
স্তম্ভের আড়ালে দেখিতে পাই।।
এতো খুনশুটি, হাসি মাখামাখি দেখিয়া
উঁচু আসমান আসিছে নামিয়া
পেয়েছে তাহাদের চরণে ঠাই।।
ক্ষুধার্ত বেদুইন চেয়ে দেখে
রূপসী জয়নাব আপনমনে আফগানী আঙুর খায়
বারো মাস যার যায় রুটি খর্জূরে
তার তরে এসব অভিলাষ নাহিকো শোভা চায়
প্রত্যক্ষ দর্শনে পেয়েছি এতসব কতজনেই বা পায়।।