জাদুকরী বেশে যুগ যুগ ধরে
    খঞ্জর বিঁধিয়া গিয়াছো মোহগ্রস্ত প্রেমিকের বুকে

  সহাস‍‍্যবদনে পঞ্চায়েতে বিলিয়েছো সহস্র গোলাপ
বঙ্গমা ভেবেছে পুত্র দ্বয় তার আছেই না কত সুখে।

    এতকাল রচিলাম তোমারে/  শত মালা দিয়া
      কত মল্লিকা,ওড় পুষ্প, সমর্পিয়া সমস্ত হিয়া

         তোমারি দেবত্ব রক্ষা করিবার লাগি
দিবার ব‍্যালটেরে আনি গোপনে তমিস্রার রাত জাগি

    তবু দেবী মোরে ত্বম রণক্ষেত্রে রাখি একেলা
            নিজ কায়াজান রক্ষা করিতে
   গেলা মোরে একেবারে অনাথের মতো ফেলি।।

লোকে তব মোরে তস্কর, চাটুকার কত নামে ডাকি
     হায় দেবি! এই কি দেবত্বের অলংকার
এই ছিলো তোর রাজপুত নীতি,ষোল আনাই ফাঁকি।

          
         শুনো! দেবত্ব হারাইয়াছো তুমি
   শত তাজা রক্ত তোমার সোপানে দিয়াছি বলি
         তবু মন নাহি ভরে তোর, আরো চাই।
          রাক্ষসী, অগস্ত‍্য যাত্রা হোক তোর।।
    
           তোমারি উপাসক তোমারে এবার
         রক্তপিপাসু, স্বৈরাচার,খুনি নামে চুমি।।
        
     স্বৈরাচার,মুছিয়া দিয়া গেছো সমস্ত দেশাচার
            কমরেডের স্মৃতি পেছনে ফেলিয়া
   আঁকিয়াছো দেশ জুড়ে স্বজনপ্রীতির ক‍্যাপচার।
  
                হায় দেবী! অমৃতভাষিণী
             যেন আমি কিছু দেখি নাই
                  আমি কিছু শুনি নাই
            কেবলি লাটিমের মতো ঘুরে ঘুরে
   অবশেষে লুটিয়ে পড়ি  তোমারি বুলেটের চুম্বনে।।