ফজরের কুয়াশায় তুমি কানে পড়লে বেদানার ফুল
কুসুমিত হাতে মাখছো আটার খামির
সহসা নড়ছে যেন ঐ এক গুচ্ছ চুল
আমি খোরাসানে বসে দেখি শুনি। টের পাই।
দেখো প্রেয়সী, নেই কোনো ভুল।।
তোমার রুটি গোল হতে থাকে, সেকা হয়
কারো আগমন টের পেয়ে
লম্বা আবরণী টেনে দাও মুখের উপর।।
তোমার রুপোর চুড়ির শব্দ আমার হৃদয়ে
ঝড় তোলে দেয় ভীষণ: একদম নড়-বড়
আচমকা মদিনার ঝড়ো সাইমুম আসে
তোমাকে ; তোমার জিলবাব উড়িয়ে নিয়ে
কোথায় যেতে চায় বুঝি সেই খোরাসান।।
তুমি টেরটুকুও কি পাওনা!
শুনো কিশোরী,
খোশ আমদোদ! খাইবারে উঠেছে নিশানে কালেমা
তোমার খামিরে এখন তো আর
পশ্চিমের ধুলো এসে পড়বে না;
তবে মৌন কেন, কথা কও কিশোরী?
◆◆২য় কিস্তি
ইলমে কিশোরী,
যেন হেরাতের রক্তিম আনার সব ফিকে হয়ে গেছে
রসহীন,তোমার মাদকতা ভুলার জন্য বোধহয়
পপি গুলো কে যেন রাতের আধারে কেটে নিয়ে গেছে। চোখে উঠেছে বজ্জাতি গ্লুকোমা।
তোমার রুটি গোল থেকে আরো গোল হয়
বিজয়ের হাসি নিয়ে আসি তোমার সম্মুখ পানে
হাসৌজ্জ্বল মুখে তোমার লাগি আনি
সিন্ধের বরফী আঙুর, কিশোরী।।
তোমার হাতে মেহেন্দির রং,
দফের ছন্দ নুয়ে পড়ছে এ কোন গুলজার মেহফিল
হেরাতের আকাশে কিসের এতো আলোর ঝলকানি
কমরেড?
কালেমার বিজয়ের নাকি অমোঘ বেদনার?
ইলমে কিশোরী
তোমার রুটির মূর্ছনা
খাইবারের কাবুলিওয়ালা পেয়ে যায় ;
রূপোর চুড়ির ধ্বনি আমি আর যে শুনি....না।
আমার প্রেমময় পানসির আবারো বেহাত হয়ে যায় ।।
হাতে বিজয়ের ঝান্ডা নিয়েও
আমি হয়ে যাই পরাজিত আহমেদ মাসুদ।