শ্রাবণের জোছনার শেষরাত্রিতে
গোপন চুক্তিতে সয়লাব নদীর ওপার
প্রেমময় তিব্বতের প্রতি অভিমান বাড়ে
।। দালাই লামার ।।
বজ্র এসে মাথার উপর পড়লো ভেঙে
মার্কস! দেখো, সহসা লুটালাম আমি আবার
হাত বাড়িয়ে বলছে কে যেন; বন্ধু হবে আমার?
কেন দেবীরে সাজাও দেবালয়ে
শেষে যদি দিবা বিসর্জন করি ।।
হৃদয়ে পূজিনু যারে আমৃত্যু
তারে কোন ভুলে আবার মৃত্তিকা দিয়ে গড়ি।
দূরের প্রেয়সীরে কাছে টানিয়া আপনকে করি পর
বাৎসরিক বেদনা জাগিয়ে/ দাসের মনে
খুশি হন এ কোন মমতাময়ী ঈশ্বর?
এতো মায়া ভরে, আয়োজনে সাজাইয়া দেবীরে
যদি দিতে হয় বিসর্জন
তবে প্রভু দাও প্রস্তর মন;
সহিতে সেই বেদনার গর্জন।।
দেবালয়ে বসাইয়া যারে এতকাল পূজিনু
কত অভিমান সহসা ঠেলেছি তাহার চরণে
তবুও চুপিসারে নিয়ে গেলে খেলাচ্ছলে;
হায়! মোর দেবীরূপী গৃহকর্ত্রীর হলো যে লয়।
হে ঈশ্বর তোমার ফুলেল দেবীরে দিয়ে
শুধু পূজাই হয়, ।।। সংসার নয়।।