যে নবজাতকের আগমনে পৃথিবীর সমস্ত অসুন্দর
সুন্দরে পরিণত হওয়ার কথা,
তার জন্ম হয়ে গেছে সাড়ে চৌদ্দ-শত বছর আগে।
মরুর ধূলিকণায় তার সমস্ত যৌবন বহিয়া
ছড়াইয়া উঠিয়াছে কস্তুরি জাফরানে ব্যাপিয়া।
চলনে তাহার মেশক অম্বর, হৃদয়ে শুদ্ধতম প্রেম
কোমল স্পর্শে গলিয়া যায় সাক্ষাৎ নিকষিত হেম।
তাহার আহ্বানে অনাবৃত হইলো আবৃত
রাজচোর, দস্যু মারাঠা সব হইলো ধৃত।
কাটার বদলে সে ছুড়িয়া দিল মোরে ফুল
কপোল চুম্বনে শুধরায়ে দিলো ছিলো যত মোর ভুল।
কে আছে তাহার মতো সেই ভাগ্যবান
নিজ পত্নীক্রোড়ে হাসি চোখে/ চাহিয়া চাহিয়া
বরণ করিয়া লইয়াছে নিজ কায়াজান।
স্বর্গরাজ্যে বসিয়াও তাহার চোখে মুখে নাই হাসি
অনুসারীদের করুণ অবস্থা দেখিয়া
হৃদয়ে বাজে দোজখের আর্তনাদের বাঁশি।