একটা ওভারব্রীজ
সাঁ সাঁ শব্দ করে
নিচ দিয়ে দ্রুতগামী
যানগুলো চলে যাচেছ
অার হঠাৎ হঠাৎ
ওভারব্রীজের ল্যাম্প পোষ্টগুলো কেঁপে উঠছে।
ঝন্ ঝন্ শব্দ গুলো
হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায়
কিছু ক্ষন পর শব্দ গুলো
বাতাসে মিলিয়ে যায়।
হঠাৎ রাস্তার দুপাশে
নিস্তব্ধতা নেমে আসে
ট্রাফিক পোষ্টগুলো মনে হয়
লালবাতি দিয়ে অধৈর্য্য যানগুলোকে অাটকে রেখেছে
বিরক্ত ড্রাইভারটি এদিক ওদিক বারবার তাকাচেছ।
ফুলওয়ালা গাড়ির গ্লাসের সামনে এসে দাড়ায়
একটি মালা নেবার আকুতি নিয়ে গাড়ির দিকে হাত বাড়ায়।
আবার সেই সাঁ সাঁ শব্দ
ল্যাম্প পোষ্টগুলো বেজে উঠে
ঝন্ ঝন্।
কম্পনগুলো অামার হৃদয়ে
অনুরনিত হয়।।।
অামার দৃষ্টি একটা
জানালারর দিকে নিবদ্ধ
সবেমাত্র সন্ধে হয়েছে
কিন্তু ঘরটাতে রাত বাতি
নিভু নিভু হয়ে জলছে।
ঘরটিতে কি হচ্ছে
খুব জানতে ইচ্ছে হয়
পকেট থেকে ফোনটা বের করে তাকে কল দেই
রিং পড়ছে পড়ছে পড়ছে
হঠাৎ একটা ভেজা কন্ঠ
ভেসে এলো
কান্নাভেজা কন্ঠে বললো হ্যালো।
ল্যাম্প পোষ্টের সেই
ঝন্ ঝন্ শব্দ আবার,
তবে এবার বুকের ভেতর
সে কেন কাঁদে???
বুকের ভেতর প্রচন্ড ছট্ ফট্
লালবাতিতে অাটকে থাকা
ওই ড্রাইভারটির মত।
অামি জানতে চাই
ওই প্রান্ত থেকে
কোন উওর অাসে না
শুধু নিঃশাসের
শব্দ পাওয়া যায়
সাঁ সাঁ চলে যাওয়া
গাড়ির শব্দের মত
হঠাৎ লাইনটা কেটে গেলো
রাত বাতি নিভে
অাঁধার শুধুই অাঁধার
জানালার পর্দাটা হেলে দুলে
এদিকে ওদিকে উড়ছে
দূর থেকে জানালার ওপাশে
কার যেন ছায়া দেখা যায়
মনে হয় কিছু বলতে চায়
কিন্তু এত শব্দের মাঝে
তার কন্ঠ
আমার কানে পৌছায় না।
অাবার হয়তো সে
কিছুই বলে না
এগুলো সবই অামার কল্পনা।
এক সময় ক্লান্ত হয়ে
অামি ফিরে অাসি
পাশের বাসস্টপ থেকে
টিকিট কিনে অানি।
অাবার অামি ছুটে যাই
সেই ওভারব্রীজটার উপর
যদিও সে নেই জানি
বুকের ভেতরের অাঁধারটা
জানালার ওপাড়ের ঘরটার
চেয়ে বেশী গুমোট হয়
এক সময় বাসে চাপি
সাথে এক ট্রাভেল ব্যাগ ভয়
অার ছোট্ট
এক লাগেজ সংশয়
ওভারব্রীজটার নিচ দিয়ে
অামি চলে যাই।
শব্দ হয় সাঁ সাঁ
অামার বুকের ভেতর
কম্পন বাজে
ঝন্ ঝন্ ঝন্ ঝন্
অার পেছনে রয়ে যায়
চির রহস্যে ঘেরা
সেই পর্দা টানা জানালা
অার তার অাড়ালে রয়ে যায়...........????