লিখেছি খাতার পাতায় পাতায়
সুন্দর নামটি তোমার,
নামটি মুখে আসলেই
মুখে হাসি আসে আমার।
চোখে চোখ পড়লেই
স্তব্ধ হয়ে যায় সারা বিশ্ব,
অন্তরটা তখনই কেঁপে ওঠে
যখনই আসে এ দৃশ্য।
তোমার খুশি মনে দেখে
আমারও মন খুশিতে মেতে ওঠে,
আর তোমার সুমিষ্ট হাসি দেখে
পৃথিবীটা যেন আবারও বেঁচে ওঠে।
জানি না, এ কী মায়া
তোমার আগমনে,
যেন বটগাছের সুমিষ্ট ছায়া
এসেছে ক্লান্ত পথিকের ক্লান্তি দমনে।
তোমার একগাল ভরা হাসি
যেন বর্ষাকালের মুষলধারে বৃষ্টি,
প্রশ্ন জাগায় আমার হৃদয়ে,
সত্যিই কী তুমি ভগবানের সৃষ্টি?
তোমার চোখের গভীরতা
আমার মনোযোগ ছিনিয়ে নেয়,
তোমার কথা মনে পড়লেই
আমার মনটা কোথাও হারিয়ে যায়।
দেখেছি তোমায় বৃষ্টির দিনে
নাচতে নাচতে এগোতে,
দেখেছি তোমায় আমার স্বপ্নে
আমার হাত ধরে ধরে এগোতে।
তুমি তেমনটাই শান্ত
যেমনটি সেই নদী আমার,
আবার তেমনটাই ভয়ংকর
সময়টা যখন ঝড় নামার।
তোমার ওই দুই চোখ
বুঝিয়ে দেয় আমায়,
মন কী তোমার আছে
রাগ, হাসি, কান্নায়।
তেমনটাই কাছে
আসি তোমার,
যেমনটা মন
চায় আমার।
তোমার মুখে হাসি ফোটাতে চাই
এই আমার ইচ্ছে,
তোমার সব কষ্টের ভাগ নিতে চাই
কথাটা নয়কো বলছি মিছে।
তোমার চোখের জলগুলো সব
মুছে দাও আমার জামায়,
মন-প্রাণ খুলে হেসে যাও শুধু
তাইতো আমার মন চায়।
তোমার প্রতি আমার অনুভূতি
লিখলেও শেষ হবে না হাজার পাতায়,
কারণ ভালোবাসা জিনিসটা সেরকম
যা দেখে বোঝা যায় অন্তরের কথায়।
সুন্দরী শান্তময়ী তুমি
থাকো না আর এই প্রাণবন্ত দুনিয়ায়,
তবুও বাঁচিয়ে রাখি তোমায় চিরদিন
আমার হৃদয়ের খাতার পাতায়।
ভালোবাসি তোমায় আজও সেরকম
যেমনটি তুমি বাসতে আমায়,
থেকে যাও তুমি আজও সেরকম
আমার এ কল্পনার দুনিয়ায়।
থাকে যেমনটা নদীর ধারে
সকল পশু-পক্ষী,
আমার হৃদয়ের দ্বারে তুমিও থেকে যাও,
আমার প্রিয় ময়ূরাক্ষী।
---সমাপ্ত---